একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন, দরজা খুলতেই দেওর-বৌদিকে দেখে শিউরে উঠলেন বাড়ির সদস্যরা
স্বামী কাজের সূত্রে কলকাতায় থাকেন। একাকীত্ব কাটাতে ভরসা ছিল দেওরই। ধীরে ধীরে দেওরের সঙ্গে বন্ধুত্ব অন্য সম্পর্কের রঙ নেয়। কিন্তু সমাজ যে মানবে না! সমাজের কথা ভেবেই তাই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তাঁরা।
বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল বৌদি ও দেওরের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল সন্দেশখালির ঝোপখালি গ্রামে।
বছর তেইশের মনিকা সর্দারের স্বামী সঞ্জিত সর্দার কাজের সুবাদে কলকাতাতেই থাকেন। মাঝেমধ্যেই বৌদির সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসতেন বছর পঁচিশের বাপন সর্দার।
ধীরে ধীরে তাঁরা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দেওর বৌদির প্রেমের কথা পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। এমনকি স্ত্রী ও ভাইয়ের সম্পর্কের কথা জেনে যান সঞ্জিতও।
মঙ্গলবার রাতে ফের মনিকার সঙ্গে দেখা করতে যান বাপন। সকাল থেকেই মনিকার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। পরে দরজা ভাঙতেই দেখা যায় অন্য দৃশ্য। একই দড়িতে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন তাঁরা। খবর পেয়ে সন্দেশখালি থানার পুলিস জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রথমে মিনাখাঁ ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়।