অষ্টমীতে প্রথম দেখা, ৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গামণ্ডপে বিয়ে সারল শ্রীরামপুরের যুগল!
নিজস্ব প্রতিবেদন : অষ্টমীতে প্রথম দেখা। আর সেদিনই দুর্গা মণ্ডপে দাঁড়িয়ে বিয়ে করে নিল যুগল। প্রথম দেখা হওয়ার ঘণ্টা চারেকের মধ্যেই চারহাত এক হল।
হিন্দমোটরের সুদীপ ঘোষালের সঙ্গে মাস তিনেক আগে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল বৈদ্যবাটির প্রীতমার। সুদীপ বললেন, '২৫ জুলাই ফেসবুকে ওর সঙ্গে আলাপ হয়।'
বেশ কিছুদিন ফেসবুকে কথা হওয়ার পর তারপর দুজনের মধ্যে ফোন নাম্বার চালাচালি হয়। শুরু হয় হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলা।
সুদীপ জানালেন, "এই তিনমাস সামনাসামনি কখনও দেখা হয়নি। যোগাযোগ বলতে ছিল শুধু হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা। আর মাঝে মাঝে ভিডিয়ো কল।" মুখে কিছু না বললেও মিষ্টি স্বভাবের প্রীতমাকে প্রথম থেকেই মনে ধরেছিল পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ সুদীপের। শেষে অষ্টমীর দিন সাক্ষাৎ!
না, সেটাও কোনও প্রি-প্ল্যানড নয়। হোয়াটসঅ্যাপে কথা হতেই দুজনে জানতে পারেন যে, দুজনেই তখন সন্তোষমিত্র স্কোয়্যারের ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন। শেষে প্রীতমা যখন সন্তোষমিত্র স্কোয়্যারের ঠাকুর দেখে বেরচ্ছেন, তখনই সুদীপের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়।
দেখা হতেই আর দেরি করেননি সুদীপ। সঙ্গে সঙ্গে প্রীতমাকে প্রোপোজ করেন সুদীপ। সুদীপ জানালেন, "এরপর বন্ধুরা হই হই শুরু করে দেয় ট্রিট টাই, ট্রিট চাই বলে। ঠিক করি প্যান্ডেল হপিং ছেড়ে হিন্দমোটরে পাড়ার মণ্ডপে ফিরে আসব। সেখানেই ট্রিট দেব।"
সুদীপের কথায়, "সন্তোষমিত্র স্কোয়্যার থেকে হিন্দমোটর, ৪৫ মিনিট জার্নির এই পুরো সময়টাই ও আমার বাইকে ছিল। আর তখনই সিদ্ধান্ত নিই যে খুব তাড়াতাড়ি আমরা বিয়ে করব।" তবে সেটা ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যেই হয়ে যাবে, এমনটা অবশ্য পরিকল্পনা ছিল না।
এই সবটাই বন্ধুদের উৎসাহে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুদীপ। বলেন, "বন্ধুদের উৎসাহেই পুজো মণ্ডপে সিঁদুর পরিয়ে প্রীতমাকে বিয়ে করি। আর তারপর ৫০-৬০ জন বন্ধু মিলে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রসেশন করে বাড়ি অবধি পৌঁছে দেয়।"
প্রথম দেখাতেই বিয়ে! তাও পুজো মণ্ডপে! সবটাই দেবী দুর্গার আশীর্বাদ বলে মনে করছেন সুদীপ ও প্রীতমা। দুজনেই জানালেই বিয়ের সিদ্ধান্তে তাঁরা দুজনেই খুব খুশি। এমনকি ক্যামেরার সামনে বুটিক শিল্পী নববধূ নিজেকে 'প্রীতমা ঘোষাল' বলে পরিচয় দিতেও ভুললেন না।
হঠাৎ বিয়ে! বাড়ির লোক কী বলছেন? মেনে নিল? বৌমাকে পেয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি খুব খুশি। বৌমাকে মিষ্টিমুখ করানোর ছবি ধরা পড়ল ক্যামেরায়। আচমকা হলেও তাঁর সম্পর্ক ও বিয়ে বাড়িতে মেনে নেবে বলে আশাবাদী প্রীতমা ঘোষালও।