ল্যাবে তৈরি হয়েছে Corona Virus, মিলেছে Fingerprint, দাবি দুই বিজ্ঞানীর

Sun, 30 May 2021-7:33 am,

নিজস্ব প্রতিবেদন: চিনের Wuhan Institute of Virology ল্যাবে তৈরি হয়েছে করোনা, নতুন গবেষণায় এই চাঞ্চল্যকর দাবি করছেন একদল বিজ্ঞানী।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাইরাসটি প্রস্তুত করার পরে, চিনা বিজ্ঞানীরা এটিকে প্রযুক্তিগতভাবে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন, যা দেখে মনে হয় ভাইরাসটি বাদুড়ের থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। ডেইলি মেইলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা  হয়েছে, ব্রিটিশ অধ্যাপক Angus Dalgleish এবং নাভের বিজ্ঞানী Dr: Birger Sorensen এই গবেষণাটি করেছেন। 

চিনে তৈরি ভাইরাস সম্পর্কিত রেট্রো-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রমাণ যোগ্য তথ্যে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে তাদের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চিনে ভাইরাস তৈরি হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। তবে এই বিষয়টিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। 

অধ্যাপক Angus Dalgleish লন্ডনের সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজির অধ্যাপক। একই সময়ে, Dr: Birger Sorensen একজন ভাইরাওলজিস্ট এবং ইমিউনর নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, এই সংস্থা করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে যে উহান ল্যাবে ডেটা ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এই গোটা বিষয়টিকে লোকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আমরা যখন দুজনেই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য করোনার নমুনাগুলি অধ্যয়ন করছিলাম তখন  ভাইরাসটিতে একটি 'বিশেষ ফিঙ্গারপ্রিন্ট' পাওয়া গিয়েছে।  

প্রসঙ্গত,  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো গোড়া থেকেই চেষ্টা করে আসছে কীভাবে করোনাভাইরাস তৈরির জন্য চিনকেই কাঠগড়ায় তোলা যায়। এনিয়ে বিতর্ক উঠেও থমকে গিয়েছিল। তবে বেশ কিছুদিন আগে তা ফের উস্কে ছিলেন চিনের এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ।। 

চিনের ভাইরোলজিস্ট ড. লি মেং ইয়ান দাবি করেছেন তাঁর হাতে প্রমাণ রয়েছে যে করোনা ভাইরাস তৈরি করা হয়েছিল চিনের এক সরকারি ল্য়াবে। এনিয়ে তিনি চিন সরকারকে সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু সেই কথায় কান দেয়নি সরকারি আধিকারিকরা।

গত ৬ মাসে করোনাভাইরাসের উত্পত্তি নিয়ে একাধিক তত্ত্ব উঠে এসেছে। তবে একটা ব্যাপারে দুনিয়ার বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরাই একমত যে কোভিড এসেছে কোনও বাদুড়বাহী ভাইরাস থেকে।

গত বছর প্রথমে এই ভাইরাসের দেখা মেলে উহানের এক বাজারে। কিন্তু ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ড. লি মেং ইয়ান । টিভি চ্যানেল WION-এ তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকৃতি থেকে আসেনি। এক গঠনগত বৈশিষ্ট আলাদা। এই ভাইরাস এসেছে চিনের কোনও ল্যাব থেকেই। কারণ তা না হলে শুধুমাত্র চিনেই এর দেখা মিলতো না।

গত বছর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করছেন ইয়ান। তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে মুখ খোলায় তাঁকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ফলে প্রাণ বাঁচাতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে এসেছেন।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link