Covid-19 Lockdown : রবিবাসরীয় লকডাউনে ফিরে এল ফার্স্ট ওয়েভের স্মৃতি
দ্বিতীয় ওয়েভে করোনা সংক্রমণে জর্জরিত মহারাষ্ট্র। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে রাজ্যে ১৫ দিনের কারফিউ ঘোষণা করেছেন। বুধবার রাত ৮ টা থেকে শুরু হয় কার্ফু। আপাতত পয়লা মে সকাল ৭ টায় এই কার্ফু শেষ হবে।
সরাসরি লকডাউনের পথে হাঁটেনি মধ্যপ্রদেশ। সে রাজ্যের সরকার একই বিধিনিষেধ বহাল রেখে তা করোনা কারফিউ হিসেবে জারি করেছে। রাজ্যের ইন্দোর ও ভোপাল এই দুই শহরে মহারাষ্ট্র থেকে আগত যাত্রীদের জন্য আরটি-পিসিআর টেস্ট বাঞ্ছনীয়।
সাপ্তাহিক কারফিউ চলছে দিল্লিতেও। রাস্তাঘাট শুনশান। বন্ধ দোকান-পাটও। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজধানীতে সাপ্তাহিক কার্ফু ঘোষণা করেন। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত চলছে কার্ফু।
সাপ্তাহিক কারফিউ চলছে রাজস্থানেও। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত শুক্রবার সন্ধে ৬ টা থেকে সোমবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করেছেন।
চণ্ডীগড়ে সাপ্তাহিক লকডাউন চলছে। চেনা ব্যস্ত রাস্তার শুনশান ছবি উসকে দিচ্ছে গত লকডাউনের স্মৃতি। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত এই লকডাউন ঘোষণা করেছে চণ্ডীগড় প্রশাসন।
বারাণসীর চিত্রটা অবশ্য অন্য। সরকারের গাড়ি থেকে জল ভরতে জমায়েত দেখা গেল মানুষের মধ্যে। কারও মুখে নেই মাস্ক। ১৮ই এপ্রিল রবিবার গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। শুধুমাত্র পয়ঃপ্রণালী সংক্রান্ত কাজ, স্যানিটাইজেশন ও জরুরি পরিষেবা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
করোনা রুখতে লড়ছে কর্ণাটকও। শয়ে শয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা হাসপাতালগুলির। রাজধানী বেঙ্গালুরুসহ মাইসোর, ম্যাঙ্গালুরু, কালবুর্গি, বিদার, টুমকুর, উদাপি ও মণিপালে রাত ১০টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলছে নাইট কার্ফু।
গত লকডাউনে দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা দেখেছিল গোটা দেশবাসী। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে লকডাউনের ফলে রাজ্য ছাড়ছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। মহারাষ্ট্র বা কেরালা থেকে আগত সমস্ত যাত্রীদের জন্য যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে RT-PCR পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।