করোনাভাইরাস দূর হলেও পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর হতে চলেছে জিসপোজেবল মাস্ক!
করোনা নিয়ন্ত্রণে যতই টিকা আসুক না কেন মাস্ক করোনা ঠেকাতে অন্যতম এক হাতিয়ার। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও রয়েছে গ্লাভস, ফেস শিল্ড যা ফ্রন্টলাইন থাকা করোনা যোদ্ধারা ব্যবহার করে চলছেন।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ডিসপোজেবল ফেস মাস্কই হতে পারে পরিবেশ দূষণের বড়সড় কারণ। ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে গ্লাভস ও ডিসপোজেবল মাস্কের বিক্রি হয়েছিল ৮০ কোটি ডলারের। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৬৬ বিলিয়ন ডলার। ফলে বোঝা যাচ্ছে কীভাবে করোনার সময়ে এই মাস্ক ও গ্লাভসের ব্যবহার বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্বে ব্যবহৃত মাস্কের ৭৫ শতাংশ মিশে যাবে মাটি বা সমুদ্রে। তা ভয়ঙ্কর দূষণ সৃষ্টি করবে ওই দুই ক্ষেত্রে।
UniMask কোম্পানির সিইও কপিল ভাটিয়া সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রলিপ্রপিলিন দিয়ে তৈরি অধিকাংশ ডিসপোজেবল মাস্ক সহজ ভাঙে না। ফলে তা সমুদ্রকে প্রবলভাবে দূষিত করতে পারে। প্রতিবছর সমুদ্রে মেশে ৮০ লাখ টন প্লাস্টিক। ধীরে ধীরে তারা ন্যানো প্লাস্টিকে ভেঙে যায় এবং তা আমাদের ফুড চেনে প্রবেশ করে।
কীভাবে থামান যাবে এই দূষণ!বিশেষজ্ঞদের মতে একবার ব্যবহার করে যেসব মাস্ক ফেলে দেওয়া হয় তার ব্যবহার দ্রুত কমাতে হবে। যদিও করোনা মোকাবিলায় যেসব ফ্রন্টলাইন কর্মীরা কাজ করছেন তাদের কোনও উপায় নেই তবুও এর ব্যবহার দ্রুত কমাতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়া দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ যদি এই ডিসপোজেবল মাস্ক ব্যবহার না করেন তাহলে মাস্ক থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সাধারণ মানুষের উচিত কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করা।