Cyclone Gulab: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় `গুলাব`, বিপদ এড়াতে কী কী সতর্কতা নেবেন জানুন
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার প্রকোপে ইতিমধ্যেই মানুষের জীবনযাত্রার মধ্যে প্রভাব পড়েছে।কিন্তু এই টানা বৃষ্টি, বার বার নিম্নচাপের ফলে মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে। করোনার পর এ বার সুপার সাইক্লোনের আতঙ্ক। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে একটানা বৃষ্টি চলছে। তবে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে সাধারণ মানুষের কী কী করা উচিত সেগুলি খেয়াল রাখুন। আগের একটানা বৃষ্টির ফলে এখনও জলমগ্ন কলকাতার বহু জায়গা। নাজেহাল শহরবাসী। এই অবস্থায় ফের বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা শুনে প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করেছে লালবাজার। শনিবার রাত ১২ট থেকে শুরু সর্বক্ষণের কন্ট্রোল রুম। পুলিসের পাশাপাশি থাকছে দমকল, কেএমসি, পিডব্লুডি। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে একজন যুগ্ম কমিশনার এবং একজন ডিসি। জমা জলে ইলেক্ট্রিক তার পরে ইতিমধ্যে কলকাতায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই সতর্ক সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। ‘আমপান’, 'ইয়াস' এর প্রকোপে বহু জায়গা, প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। 'ইয়াস' এর প্রভাব এখনও বহু মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সাইক্লোন 'গুলাব' আছড়ে পড়তে চলেছে আগামীকাল। ইতিমধ্যেই উপকূলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের তরফ থেকে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এবং ঘূ্ণাবর্ত। পূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি বাড়িয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার দুপুরের পর তা ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি আসবে। প্রায় সমান্তরাল একটি ঘূর্ণাবর্ত আগামিকাল উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। এই দুইয়ের যোগফলে রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টি শুরু হবে। আজ বিকেলের মধ্য়েই সাইক্লোনের সম্ভাবনা, এরই মধ্যে একটু সতর্ক থাকলেই বিপদ এড়াতে পারবেন।
শনিবার বৃষ্টি বা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে দক্ষীণবঙ্গের সব জেলাতেই। আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস, খাবার, ওষুধ, জল ও পোশাক প্রস্তুত রাখুন। সুরক্ষিত রাখুন আপনার বাড়িকেও। ধারালো কোনও জিনিস খোলা অবস্থায় ফেলে রাখবেন না। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাঁধনমুক্ত রাখুন পোষ্যদের।
বাড়ির সব দরজা, জানালা বন্ধ রাখুন। খড়ের ঘর, কাঁচা বাড়ি বা জীর্ণ ও বিপজ্জনক পাকা বাড়িতে থাকবেন না । যদি আপনার বাড়ি সুরক্ষিত না হয়, আগেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা নিকটবর্তী পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিন। ইতিমধ্যেই শহরে যাতে কোনওভাবেই জল না জমে তার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে মৎস্যজীবীদের। তাঁদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিরাপদ স্থানে বেঁধে রাখতে হবে তাঁদের নৌকাও।
অনেক জায়গা থেকেই বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।