রাতভর মহারাষ্ট্র-গুজরাটে `Tauktae`-র তাণ্ডব, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাতভর মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে তাণ্ডবলীলা চালালো ঘূর্ণিঝড় 'তকতে'। লন্ডভন্ড মুম্বই সহ উপকূলের এলাকাগুলি। মুম্বইয়ে অতি ভারী বৃষ্টি হয়। ঘণ্টায় ১১৪ কিমি বেগে বয়ে যায় ঝড়। সোমবার রাতে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র উপকূলে ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়ে 'তকতে'।
ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে আরব সাগরের উপকূল এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক। দমকা হাওয়ায় উপড়ে পড়েছে একাধিক গাছ, ইলেকট্রিক পোস্ট। ভেঙে গিয়েছে বহু ঘর-বাড়ি, দোকানপাট।
রাতভর ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। গাছ পড়ে অবরুদ্ধ হয় একাধিক রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগও।
আনন্দওয়াদি পোতাশ্রয়ে ৭ নাবিক সহ দুটি নৌকো ডুবে যাওয়ার খবর মিলেছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনায় মহারাষ্ট্রের কোঙ্কনে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
গুজরাটের উপকূলে নীচু জায়গা থেকে সরানো হয় প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় আহমেদাবাদ, সুরাট সহ একাধিক গুরুত্পূর্ণ শহরের বিমানবন্দর। প্রথমে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও পরে রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ করে রাখা হয় মুম্বই বিমানবন্দরও।
উদ্ধারকার্যে সবরকম সাহায্যে নামে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভারতীয় নৌসেনার তরফে তিনটি জাহাজ আইএনএস কলকাতা, আইএনএস কোচি ও আইএনএস তালওয়াড় নামানো হয় উদ্ধারকার্যে। মুম্বই উপকূলে দুটি বার্জ থেকে ৪১০ জনকে উদ্ধার করেছে তাঁরা।
মঙ্গলবার সকালে মৌসম ভবন জানিয়েছে, ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'তকতে'। ঘূর্ণিঝড়ের চক্ষু স্থান পরিবর্তন করেছে যার ফলে শক্তিক্ষয় ঘটছে তকতের। সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘণ্টায় মাত্র ১১ কিমি বেগে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে শক্তি হারিয়ে সরে গিয়েছে তকতে।