বিপদ ডাকছেন! রাতারাতি দইয়ের সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করুন আম সহ এই খাবারগুলি
নিজস্ব প্রতিবেদন: জৈষ্ঠ্যের কড়া দাবদহে দই স্বাস্থ্যের জন্য একেবারে যথাযথ। এই সময় ডায়েটিশিয়ানরা বেশি করে দই খাওয়ার পরামর্শও দিয়ে থাকেন। হজম ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করে দই। দইতে থাকা ল্যাকটোজ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-টু, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারী। পেটের জন্যও খুবই ভালো দই খাওয়ার অভ্যেস। কিন্তু, দইয়ের স্বাদের তারতম্য আনতে অনেক সময়ই আমরা দইয়ের সঙ্গে বেশ কিছু জিনিস মিশিয়ে খেতে পছন্দ করি। কিন্তু কোন জিনিস খাবেন আর কোনটা নয়। তা জানা অতি প্রয়োজনীয়। একে অপরের সঙ্গে মিশে কোন বিপদ ডেকে আনতে পারে, সে বিষয়ে অবগত হন।
রায়তা বানানোর সময় দইয়ের সঙ্গে ভুলেও পেঁয়াজ দেবেন না। অন্যদিকে দই ফুচকা খাওয়া বা বিভিন্ন রান্নায় আমরা দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজের ঘন্ট তৈরি করে থাকি। কিন্তু এই মিশ্রণে অ্যালার্জি, ত্বকের সমস্যা, অ্যাস্থমার মতো মারাত্মক অসুখ হতে পারে।
মাছের সঙ্গে দই খাওয়ার প্রবণতা বাঙালিদের মধ্যে রয়েছে। স্বাদে ভরা বাঙালি গরম ভাতে মাছের কালিয়া, কোফতা, দই চিংড়ি বা ইলিশ খেতে খুবই পছন্দ করেন। আপনিও কি সেই দলে? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দই ও মাছ- উভয়েই রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন। তাই দুটি একসঙ্গে খাওয়ার ফলে হজমতন্ত্রে সমস্যা, পেটে ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
দই খান, নয়ত আলাদা করে দুধ পান করুন। কিন্তু কখনই দুটি একসঙ্গে নয়। কারণ, দুটি প্রাণী থেকে সংগৃহীত প্রোটিন একসঙ্গে খাওয়ার ফলে ডায়েরিয়া, অ্যাসিডিটি, বমিভাব, পেট ফুলে ওঠা ও গ্যাসের প্রবণতা বাড়তে থাকে। গ্যাসের থেকে বুক পেট পিঠে ব্যথা হতে পারে।
উড়াদ ডাল ও দই কখনই একসঙ্গে খাবেন না। দুটোই প্রোটিন। আপনার হজমতন্ত্রকে ব্যহত করতে সময় নেবে মাত্র কয়েক মিনিট। বদহজম, ডায়েরিয়া, পেট ফেঁপে থাকবে বহুক্ষণ।
ভাজাভুজির সঙ্গে দই, একেবারেই নয়। অনেকেই পরোটার সঙ্গে দই আঁচার খতে পছন্দ করেন। কিন্তু জানেন কি তৈলাক্ত খাবারের সঙ্গে দই খেলে হজমশক্তি কমে যায়! পাশাপাশি শরীরে অদ্ভুতভাবে ক্লান্তি ঘিরে ধরবে। বমি বমি ভাব আসতে পারে।
সর্বশেষ দইয়ের সঙ্গে যেটি খাবেন না সেটি হল আম। ত্বকের জন্য এমন খাবার বেশ ক্ষতিকর। গোটা শরীরে টক্সিন নির্গত হওয়ায় নানা রকম শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।আম ও দুধ একসঙ্গে চলতে পারে, তবে দই নয়।