Dates : যৌনক্ষমতা বা হিমোগ্লোবিন, বাড়াতে ভরসা খেজুর
খেতে ভালো, স্বাদে মিষ্টি। আয়রন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস এবং ভিটামিনে ভরপুর 'ওয়ান্ডার ফ্রুট'। শরীরও ভালো রাখে, সৌন্দর্য্যও বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধে তো এর জুড়ি মেলা ভার। তাহলে, রান্না ঘরে ড্রাই ফ্রুটসের বাক্সে পরে থাকা খেজুরের একটু গুণের কথা জেনে নেওয়া যাক।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জানেন কি, দু-চারটে খেঁজুর খেলে তৎক্ষণাৎ শক্তির যোগান পেতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ থাকায় শরীরে শক্তি প্রদানে খুব কার্যকরী।
ওজন বাড়ানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা খেঁজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে গ্লুকোজ, ভিটামিন থাকার পাশাপাশি অনেক প্রয়োজনীয় প্রোটিন আছে, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ সহ একাধিক লবণ আছে, যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করার পাশাপাশি হাড়কে শক্তিশালীও করে।
খেজুরে রয়েছে একাধিক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ডায়বেটিসের চিকিত্সায় সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে খেজুর অগ্নাশয়ের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
খেজুরে উপস্থিত পটাশিয়াম ও সোডিয়াম বাজে কোলেস্টেরল দূর করে ও শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলেই রক্ত চলাচল ভালো হয়। ফলে রক্তচাপও কমে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে রোজ রাতে দু’টি করে খেজুর দিয়ে দুধ ফোটালে তা ভীষণই স্বাস্থ্যকর। দুধ এবং খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রনের মাত্রা আছে। ফলে খালি এই দুধ ও খেজুরের সংমিশ্রণে এই পানীয় খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। আফ্রিকায় দেখা পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দূর করতে খেজুর খাওয়ার চল আছে। তবে বিশেশজ্ঞরা এখনও এই বিষয়ে সরাসরি কিছু মন্তব্য করেননি।
খেজুরে ভিটামিন বি ওয়ান, বি টু, বি থ্রি, বি ফাইভ সহ বিপুল পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে। এই উপাদানগুলি গর্ভবতী মহিলার জন্য খুব উপকারী। এই বিষয়ে একটি গবেষণাও করা হয়। ৬৯ জন গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে ২০ শতাংশ মহিলা ডেলিভারির আগে টানা এক মাস দিনে ৫-৬টা খেজুর খেত। দেখা গিয়েছে, ওই ২০ শতাংশ মহিলাদের নর্মাল ডেলিভারির সময়ও কম লেগেছে এবং যন্ত্রণাও কম হয়েছে।
এছাড়াও হৃদরোগ নিরাময়ে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হজম শক্তি বাড়াতে আরও নানা উপকার করে ছোট্ট এই ফল। সহজে পাওয়াও যায়, খেতেও ভালো। তাহলে বেশি না ভেবে, আজ থেকেই ডায়েটে যোগ করে ফেলুন মিষ্টি এই ফলকে।