স্টাইল স্টেটমেন্ট নোজপিন, এক তিরে ৩ সোনা, দীপিকাই এযুগের `চিত্রাঙ্গদা`
নিজস্ব প্রতিবেদন- একদিনে তিরন্দাজি বিশ্বকাপে তিনটি সোনা জেতার নতুন রেকর্ড গড়লেন রাঁচির মেয়ে দীপিকা কুমারি। সিঙ্গলস, মিক্সড ডাবলস, দলগত ইভেন্টে সোনা পান তিনি। দলগত ইভেন্টে তাঁর পার্টনার ছিলেন কোমলিকা বড়ি ও অঙ্কিতা ভক্ত।
বাবা রিক্সা চালাতেন। রোজগার দৈনিক ২০০ টাকা। মেয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত ফল করলেন, বাবা নিজের পেশা ছেড়ে সরে আসেন নি। এখনও থাকেন সাধারণ বাড়িতেই। একটা সময়ে পারিবারিক রোজগার ছিল মাসিক ১৫০০ টাকা। থাকতেন কুঁড়েঘরে। বাড়ির তৈরি তির ধনুক। গাছের ফলে মেরেই অনুশীলন।
২০০৬ সালে টাটা আর্চারি অ্যাকাডেমিতে যোগ দেন । মাসিক ৫০০ টাকা স্কলারশিপ পেতেন। ১২ বছর বয়সে আর্চারি ওয়ার্ল্ড কাপের জুনিয়র কম্পাউন্ড কম্পিটিশন জেতেন। ১৫ বছর য়সে পরের শিরোপা, আবারও একটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। ২০১০ সালে দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে দুটি সোনা জেতেন।
রবিবার মিক্সড ডাবলসে স্বামী অতনু দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে সোনা জেতেন তিনি। দুজনেই সামনের মাসে টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবেন।
দলগত ইভেন্টে রবিবার তাঁর পার্টনার ছিলেন কমলিকা বড়ি ও অঙ্কিতা ভক্ত। কমলিকা, অঙ্কিতা টাটা আর্চারি অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছেন। অপরদিকে দীপিকা সদ্য টাটা ছেড়ে ONGCতে যোগ দেন।
রবিবার দুটি ইভেন্টে সোনা জেতার পর সিঙ্গলস ফাইনালে রাশিয়ান প্রতিপক্ষকে ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেন তিনি।
দীপিকা কুমারী আসন্ন অলিম্পিকে একমাত্র ভারতীয় মহিলা আর্চার। এটি তাঁর তৃতীয় অলিম্পিক।
টুইট করে তাঁকে ও তাঁর স্বামী অতনু দাসকে অভিনন্দন জানান ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।