সুশান্তের মৃত্যুতে মানসিক অবসাদ নিয়ে দীপিকার পোস্ট, সোশ্যালে আক্রমণের মুখে অভিনেত্রী
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর উঠে এসেছিল আত্মহত্যার তত্ত্ব। প্রথমে বলা হয়েছিল মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করেন সুশান্ত।
আর সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক পরপরই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে সচেতনতা প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন দীপিকা। সেসময় #repeat after me হ্যাজট্যাগে দীপিকা বেশকিছু টুইট করেছিলেন।
তবে পরে সুশান্তকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি করে তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যেই এই মামলায় CBI তদন্তের রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় মানসিক অবসাদ নিয়ে পোস্টের জন্য ফের একবার সমালোচনার মুখে পড়লেন দীপিকা।
দীপিকাকে আক্রমণ করে 'দ্যা স্কিন ডক্টর বলে একটি টুইটার হ্যান্ডেল' থেকে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ''দীপিকা হলেন মানসিক অবসাদের বিশেষজ্ঞ, কারণ উনি একদশক আগে মানসিক আবসাদে ভুগেছিলেন। যেমন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন আমায় বানর কামড়েছিল, তাই আমি বন্যজীবন নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছি। যে যেটি ভোগ করে, সেই সেবিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে যান''
'দ্যা স্কিন ডক্টর বলে একটি টুইটার হ্যান্ডেল' থেকে করা পোস্টে প্রসঙ্গ টেনে আরও একজন মজা করে লিখেছেন, ''আমি দ্বৈত ব্যক্তিত্বের সমস্যায় ভুগছিলাম, কারণ আমার বাবা আমায় ছোটবেলায় মেরেছিলেন, আর আমি কাঁদছিলাম। পরে আমার বাবা বলল, কাঁদলে আবারও মারবেন, তাই আবার হাসতে শুরু করলাম। আর এখন আমি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছি।''
আরও এক ব্যক্তি দীপিকার পুরনো টুইট শেয়ার করে দীপিকার উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ''আপনিআ (দীপিকা) বলেছিলেন, কেউ একা নয়, কথা বলুন, তাহলে আপনি (দীপিকা) কি সুশান্তের সঙ্গে কথা বলেছিলেন? আপনি তোমার রিসেপশনের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন? ও (সুশান্ত) তো একা হয়ে গিয়েছিল? জ্ঞান দেন বন্ধ করো।''
আরও এক ব্যক্তি দীপিকাকে আক্রমণ করে লিখেছেন, ''স্ব-ঘোষিত মানসিক অবসাদ বিশেষজ্ঞ। দীপিকা সুশান্তের মৃত্যুতে মানসিক অবসাদের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভীষণই চেষ্টা করেছিলেন। কোনও তদন্তের অপেক্ষা না করেই বলিউডের কিছু লোকজনকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।''
দীপিকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হওয়া নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর কটাক্ষ, অবসাদের 'ধান্দা চালানে ওয়ালি'কে জনতা 'অওকত' দেখিয়ে দিয়েছেন।