কানহাইয়াদের আড়াল করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা? কীভাবে বেরিয়ে আসল সত্যি?

Fri, 18 Jan 2019-10:44 pm,

২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় দিন কয়েক আগে ১২০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিস।

দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিস। তাঁরা সকলেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। জেরায় কানহাইয়া কুমার, উমর খলিদ ও অনির্বাণ ভট্টচার্যের সঙ্গে যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন অভিযুক্তরা। পুলিস মোবাইল রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর নিশ্চিত হয়, অভিযুক্তদের সঙ্গে কানহাইয়াদের যোগ ছিল।

সূত্রের খবর জেকায় মুনিদ ও মুজিদ স্বীকার করেছিলেন, তাঁরা পূর্বপরিচিত (দুজন ভাই)। তবে অন্যরা দাবি করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পোস্টার দেখে যোগ দিয়েছিলেন। চার্জশিট বলছে, পাথর নিক্ষেপকারীদের পক্ষ নিয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন মুজিব। 

আকিব পুলিসকে জানিয়েছিলেন, উদ্যোক্তাদের চিনতেন না তিনি। ঠান্ডার কারণে মুখ ঢেকেছিলেন। কিন্তু মোবাইল কলের তথ্যে স্পষ্ট হয়, অনুষ্ঠানের আগে উমর খলিদকে ফোন করেছিলেন আকিব। ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টো বেজে ৪৩ মিনিটে গিয়েছিল ফোন। বলে রাখি, এই আকিবের হাতেই ছিল আজাদির প্ল্যাকার্ড। 

আর এক অভিযুক্ত উমর গুল দাবি করেছিলেন, পোস্টার দেখে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর মোবাইলের কল তথ্য বলছে, মুজিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এমন তথ্য থেকে পুলিস নিশ্চিত, অনেক আগে থেকে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

জেএনইউ-তে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তত্কালীন সভাপতি কানহাইয়া কুমার-সহ আরও ৯ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ, হিংসা ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের ধারায় চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিস। 

ঘটনায় ৯০ জন প্রত্যক্ষদর্শী বয়ান লিপিবদ্ধ করেছে দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, চার্জশিটের ১২ নম্বরে কলামে ৩৬ জন অভিযুক্তের নাম লেখা রয়েছে। তাঁর মধ্যে রয়েছে সিপিআই নেতা ডি রাজার কন্যা অপরাজিতা রাজা। 

১২০০ পাতার চার্জশিটে ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য নথিও জমা দিয়েছে দিল্লি পুলিস। জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের দাবি, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নির্দেশের আসার পর মামলা সাজানো হয়েছে। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link