Deoghar Ropeway Accident: `বোতলেই প্রস্রাব, জলের দরকার হলে সেটাই...` ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনাল মালদার ২ পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদন : ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মাঝ আকাশে ঝুলেছিলেন। দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে মালদারও ২ পরিবারকে।
পরিস্থিতি এতটাই কঠিন ছিল যে, পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিলে প্রস্রাব পান করার পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই কারণে নিজের পরিবারের সদস্যদের বোতলে প্রস্রাব করার পর্যন্ত পরামর্শ দিয়েছিলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা বিনয় কুমার দাস। বিনয়ের ৭ জনের পরিবার। পরিবারের সকলকে নিয়েই তিনি ত্রিকূট পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন।
সেখানে গিয়েই রোপওয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখোমুখি হন সবাই। তবে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও বেঁচে থাকার আশা হারাননি বিনয়বাবু। পাশাপাশি তিনি এও জানতেন, খুব শিগগিরই জল এবং খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়বে তাঁর পরিবার। তাই বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছে থেকেই নিজের পরিবারের সদস্যদের বোতলে প্রস্রাব করার পরামর্শ দেন তিনি।
সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়ে বিনয়বাবু বলেন, "জলের প্রয়োজন হতে পারত। তাই আগে থেকেই আমি পরিবারের সকলকে বোতলে প্রস্রাব করে রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্রাব খেতে বাধ্য হওয়ার আগেই আমাদের উদ্ধার করা হয়েছিল।"
বিনয় বাবুর ৫০ বছর বয়সী স্ত্রী ননী দাস উদ্ধার পরবর্তী অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, "আমাদের সবার সঙ্গে খুব ভাল আচরণ করা হয়েছিল। হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়ার পরপরই আমাদেরকে খাবার এবং জল দেওয়া হয়। বায়ুসেনার জওয়ানদের সঙ্গে আমরা খুব নিরাপদ বোধ করছিলাম।"
বিনয় বাবুর পরিবার ছাড়াও ত্রিকূট পাহাড় থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন মালদার মানিকচক থানার বাকিপুরের বাসিন্দা পুতুল শর্মা। চলতি মাসের ৯ তারিখ স্বামী চন্দ্রমোহন শর্মার সাথে গয়ার উদ্দেশে রওনা হন। যাওয়ার পথে বাসুকিনাথ দর্শনের পর ত্রিকূট পাহাড়ের রোপওয়েতে উঠেছিলেন। হঠাৎ করেই দুর্ঘটনা। প্রায় ২৫ ঘণ্টা আটকে থাকার পর বায়ুসেনার চপার এসে উদ্ধার করে তাঁদের। গতকাল রাতে বাড়ি ফিরেছেন দম্পতি।