তন্বী শর্মিলার সঙ্গে সেই সময়ে অনস্ক্রিন কী করেছিলেন ধর্মেন্দ্র...
প্রকৃতিগতভাবে দুজনে দুই মেরুর ছিলেন। ধর্মেন্দ্র যখন পর্দায় একটু লাউড, একটু প্রখর ও একটু বেশি সেনসুয়্যালিটি-পন্থী, শর্মিলা ঠাকুর উল্টোদিকে খুব পোলিশড, এলিগ্যান্ট, একটু সফিস্টিকেটেড। কিন্তু দুজনের অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রি একেবারেই অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল বেশ কিছু ছবিতে।
১৯৬৬ সালের তাঁদের পর্দা-জার্নি শুরু। হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের 'অনুপমা' ছবিতে। এক হিসেবে এই জুটির জন্মদাতা হৃষীকেশই। এ ছবিতে শর্মিলা হয়েছিলেন উমা, এক ভীরু তরুণী; আর ধর্মেন্দ্র এক তরুণ কবি। এই ছবির গানগুলিও অবিস্মরণীয়। লতার 'ধীরে ধীরে মচল', হেমন্তকুমারের 'ইয়া দিল কি শুনো দুনিয়াবালোঁ'।
এর পরেই বলতে হয় 'সত্যকাম' (১৯৬৯) ছবিটির কথা। এই ছবিটিও হৃষীকেশ মুখার্জির। সম্ভবত ধর্মেন্দ্রের জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিনয় এই ছবিতে।
আগের ছবি দুটি যদি ক্লাসিক হয়, এটি তা হলে পপ। 'মেরে হামদাম মেরে দোস্ত' (১৯৬৮)। সাধারণ ছবি, কিন্তু শর্মিলা-ধর্মেন্দ্রের অভিনয় আর গানের গুণে এই ছবি আজও মানুষের মনে আছে। রফিসাবের 'ছলকায়ে জাম' আজও মানুষকে মুগ্ধ করে।
কিন্তু এর বেশ কবছর পরের ছবিটির কিন্তু যথেষ্ট সাবস্টানশিয়ালিটি ছিল। উত্তমকুমারের অনবদ্য অভিনয়ে সমৃদ্ধ 'ছদ্মবেশী' ছবির হিন্দি রিমেক 'চুপকে চুপকে' (১৯৭৫)। সেই সময়ে রাজেশ খান্নার সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারত মাতাচ্ছেন শর্মিলা। কিন্তু তারই মধ্যে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে নতুন করে জুটি বেঁধে করা এই ছবির বক্স অফিস ছিল হিট। এ ছবির পিছনেও হৃষীকেশ মুখার্জী।
এই বছরেই আর একটি ছবিতে অভিনয় করলেন ধর্মেন্দ্র-শর্মিলা। 'এক মহল হো সপনোঁ কা' (১৯৭৫)। ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনি।