Diabetes: সুগারের রোগী? `ন্যাপ` নিন, কমবে বিপদ
দিনে দিনে মারণ রোগের আকার নিচ্ছে ডায়াবেটিস। চিকিৎসকরা একে 'সাইলেন্ট কিলার' আখ্যা দিয়েছেন। অজান্তেই শরীরে বাসা বেঁধে রোগটি একটু একটু করে শেষ করে দেয় তরতাজা প্রাণ! ৯৫ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। চিকিৎসক ও গবেষকদের অবশ্য দাবি, দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটা অভ্যাসে বদল আনলেই ডায়াবেটিসের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে বলে মত চিকিৎসকদের।
ব্লাডপ্রেশার বেশি থাকলে কম কফি খেতে হবে। কারণ, রক্তচাপ বেশি হলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা এমনিই বাড়ে। এর উপর কফি খেলে গ্লুকোজ মেটাবলিজম-এ গোলমাল হতে পারে। তখন ব্লাড সুগারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। ধূমপানের কারণেও ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি পায়।
মধু বা গুড়ের ক্যালোরি চিনির থেকে কম। কাজেই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে চিনির বদলে মাঝেমধ্যে এসব খাওয়া যেতেই পারে। সমীক্ষা বলছে, নিয়মিত টানা টিভি দেখলেও ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে।
আলু খাওয়া মানেই ডায়াবেটিস-- এটা ভুল ধারণা! ১০০ গ্রাম আলুতে যেখানে আছে ১০০ ক্যালরি, সেখানে ১০০ গ্রাম চাল-আটায় রয়েছে ৩৪০ ক্যালোরি। তার উপর আলুতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা সুগার কমাতে সাহায্য করে ৷ তবে আলুর গ্লাইসিমিক ইনডেক্স বেশি, অর্থাৎ খেলে চট করে সুগার বেড়ে যায় ৷ কাজেই ইচ্ছে হলে অল্প পরিমাণে আলু খান, খোসা সমেত বা অন্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে ৷ ভাজা বা আলুসেদ্ধ নৈব নৈব চ!
সফট ড্রিংক নিয়মিত খেলে রক্তে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্যাকেজড ফ্রুট ড্রিংকয়েও প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার বিপদ থাকেই!
এই প্রজন্মর অনেকেই বেশি রাত পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকেন। সমীক্ষা বলছে, বছরখানেক টানা রাতে কাজ করলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে ১৭ শতাংশ, ৩-৯ বছর করলে ২৩ শতাংশ ও ১০ বছর পেরিয়ে গেলে তা ৪২ শতাংশের মতো ৷ এর প্রধান কারণ, মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যাওয়া, যার ফলে ইনসুলিন ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, হানা দেয় ডায়াবেটিস। কাজেই, প্রথম থেকে সাবধান হন! রাতের শিফটে কাজ করতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলাই উচিত।
অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত এমনটা হলে শরীরে বাসা বাঁধবে ডায়াবেটিস। কাজেই ঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া করুন। দুপুরে টানা অনেক্ষণ ঘুমাবেন না। খুব ক্লান্তি লাগলে ১০-১৫ মিনিটের 'পাওয়ার ন্যাপ' নিন।