Friday 13 September: আজ ক্যালেন্ডার দেখেছেন? ১৩ তারিখ, শুক্রবার! ভয়ংকর কিছু...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিছু মানুষ এতটাই আতঙ্কিত হন যে, ১৩ নম্বর সিটে বসতেও দ্বিধা করেন। ফ্রান্সে ডিনারের টেবিলে ১৩টি চেয়ার রাখা হয় না, এবং ইউরোপের মানুষ ১৩ তারিখে বিমানে উঠতে চান না। এমনকি, এই কারণে ১৩ তারিখে বিমানভাড়া কম থাকে। অতএব, শুক্রবার ১৩ তারিখ অশুভ কি না, তা একান্তই আপনার বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করছে।
Today is Friday the 13th. pic.twitter.com/Fn20fNSwy4
— Pop Base (@PopBase) September 13, 2024
শুক্রবার, তার উপর ১৩ তারিখ—এই দুইয়ের মিলমিশে যে ভয় বা অশুভ বার্তা জড়িয়ে রয়েছে, তা বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ বিশ্বাস করেন। কিন্তু, এর পেছনে সত্যিই কি কোনও ভিত্তি আছে? অনেক দেশেই এই দিনে মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পান। ১৩ সংখ্যাটি এতটাই ভীতিকর বলে মনে করা হয় যে, অনেক হোটেলে ১৩ নম্বর ঘর থাকে না, বাড়ির ঠিকানায় ১৩ নম্বর রাখতে চান না, এমনকি গাড়ির নম্বরেও ১৩ এড়িয়ে চলা হয়।
ইউরোপে, ১৩ তারিখের শুক্রবারকে সবচেয়ে অশুভ দিন বলে মনে করা হয়। অনেকের বিশ্বাস, শুক্রবার এবং ১৩ সংখ্যার মিলন মানেই দুর্ভাগ্য। এই সংস্কার আমেরিকাতেও প্রচলিত রয়েছে। এর পেছনে কী যুক্তি দেখানো হয়? গবেষকদের মতে, প্রাচীন সময়ে ফাঁসির মঞ্চে ওঠার সিঁড়িতে ১৩টি ধাপ থাকত। ১২ একটি সম্পূর্ণ সংখ্যা—বছরে ১২ মাস, ঘড়িতে ১২ ঘণ্টা, ১২টি রাশি। তাই ১৩ সংখ্যাকে অসম্পূর্ণ এবং ভারসাম্যহীন হিসাবে ধরা হয়, যার ফলে এটিকে অশুভও মনে করা হয়।
কিছু লোক ১৩ নম্বরকে এতটাই ভয় করেন যে, বিমানের ১৩ নম্বর সিটেও বসতে চান না। ফ্রান্সে ডিনার টেবিলে ১৩টি চেয়ার রাখা হয় না। ইউরোপের মানুষরা ১৩ তারিখে বিমানে উঠতে চান না, যে কারণে এই দিনে বিমানের ভাড়া তুলনামূলক কম থাকে। তবে কখনও ১৩ ঘণ্টার কথা শুনেছেন? অনেকে বিশ্বাস করেন যে, লাস্ট সাপার-এ ১৩ জন অতিথি ছিলেন, এবং যিশু বা জুডাস (যিনি যিশুকে বিশ্বাসঘাতকতা করেন) ছিলেন সেই ভোজের ১৩তম অতিথি। অনেকে মনে করেন যে যিশুর ক্রুশবিদ্ধকরণের দিন ছিল ইহুদি ক্যালেন্ডারের নিসান মাসের ১৩ তারিখ।
তবে শুক্রবার ১৩ তারিখে সত্যিই কি বেশি দুর্ঘটনা ঘটে? কিছু গবেষণায় বলা হয়, এই দিনে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি দেখা যায়। ১৩০৭ সালের ১৩ অক্টোবর শুক্রবার ফ্রান্সে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এমনকি ১৯৯৩ সালের একটি মেডিক্যাল সমীক্ষায় দেখা যায়, শুক্রবার ১৩ তারিখে দুর্ঘটনার হার বেড়ে যায়। তবে এই তথ্যের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।অনেকে মনে করেন, ১৯৮০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হরর ফিল্ম ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিনথ’-এর মাধ্যমে এই দিনটিকে নিয়ে ভয় ও কুসংস্কার আরও বাড়তে থাকে। ছবির ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং ১২টি সিক্যুয়ালের মাধ্যমে এই মিথ আরও পোক্ত হয়েছে।