‘দিদিকে বলো’-তে নেতাকর্মীদের কাঁধে গুরুদায়িত্ব, পালন না করলে পড়তে হতে পারে শাস্তির মুখে
লক্ষ্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের মেলবন্ধন আরও জোরদার করা। সোমবার দুপুর ২টোয় নজরুল মঞ্চে এক সাংবাদিক বৈঠকে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির সূচনা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, তৃণমূলকে আধুনিক করার উদ্যোগ শুরু হল।
এছাড়াও কর্মসূচির আওতায় আগামী ১০০ দিনে রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে যাবেন তৃণমূল নেতারা। নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি গ্রামে রাত কাটাবেন তাঁরা। কে কোন গ্রামে যাবেন তা ঠিক করবে জেলা নেতৃত্ব। গ্রামে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। কথা বলবেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। কথা বলবেন গ্রামের গুণী মানুষদের সঙ্গে। রাতে কোনও দলীয় কর্মীর বাড়িতে সদলবলে নৈশাহার সারবেন তাঁরা। গ্রাম ছেড়ে বেরোনোর আগে উত্তোলন করবেন দলীয় পতাকা।
নীচু স্তরের দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি বিধায়কদেরও আলাদা কিট দেওয়া হয়েছে। দলীয় কর্মীদের দেওয়া হয়েছে ‘দিদিকে বলো’ কিট। তাতে রয়েছে স্টিকার , ‘দিদিকে বলো’ কার্ড , ৫টি টিশার্ট, পোস্টার। নিজের এলাকার কর্মীদের বিতরণ করতে বলা হয়েছে ।
প্রত্যেক বিধায়কে দেওয়া হয়েছে আলাদা কিট। তাঁরা গ্রামের ৫ জন প্রভাবশালীর সঙ্গে দেখা করবেন।
তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গ্রামের ওই ৫ প্রভাবশালী ব্যক্তি বয়সে বড় হলে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে হবে । সমবয়স্ক হলে আলিঙ্গণ করতে হবে । ছোটদের আদর করতে হবে । শহরের বিধায়করা বস্তি, কলোনিতেও যাবেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১০০ দিনের মধ্যে দলীয় কর্মী ও বিধায়করা এই কর্মসূচির দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখবে প্রশান্ত কিশোরের দল।