Dilip Ghosh: `তৃণমূল কোনও দল নয়, এটা বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমন্বয়`, ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

Mon, 12 Feb 2024-8:38 am,

অয়ন ঘোষাল: এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যত ভোট এগোবে তত এই ধরনের রাজনৈতিক চমক আসতে থাকবে। তত এরকম অনেক খবর হবে। এটা নিউজ নয়'। 

 

এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, দেব আর দেবী ছাড়া তৃণমূলের গতি নেই। দেবকে নিয়ে এই চলছে। দেবীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই দেবীর এলাকা সন্দেশখালি জ্বলছে। মহিলারা ধর্ষিত। অত্যাচারিত। তারা ঝাঁটা লাঠি নিয়ে পুলিসকে তাড়া করছে। দেবীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ডগ ডে, চকোলেট ডে নিয়ে মেতে আছেন। এরপর ভ্যালেন্টাইন্স ডে করবেন। এরকম লোককে মানুষ কেন ভোট দেয় যাদের সামান্য সেনসিটিভিটি নেই। কোনও বিবৃতি নেই। কোনও কথা নেই। একবার ওখানে যাওয়া উচিত ছিল। মহিলাদের এই দুঃখের সময় তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম দেবীদের ভোট দিলে এরকমই হবে।

 

নিরাপদ সর্দার গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটার মধ্যে বিরোধীদের ভোট ভাগের রাজনীতি আছে। পুরো ইস্যুটা বিজেপি হাইজ্যাক করে নিয়েছে। বিজেপি নেতা গ্রেফতার হয়েছে। এখন সেই ইস্যু ডাইভার্ট করার জন্য শাহাজাহানের চেলা গ্রেফতার হয়েছে। আর সিপিআইএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছে। ওদের পালে হাওয়া দিয়ে বিরোধী ভোট ভাগের চেষ্টা চলছে। যাতে জনরোষের ফায়দা কোনও একদিকে না যায়। নুসরাত জাহানকে দরকার ছিল এলাকায়। তাকেও পাওয়া যাচ্ছে না। শাহাজাহান নেই। ওকে তো এলাকায় দরকার ছিল। 

 

 

সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, উনি সেনসিটিভ মানুষ। উনি জানেন এখানে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। মানুষ কষ্টে আছে। এর আগের রাজ্যপাল গেলে তাকে গো ব্যাক বলে কালো পতাকা দেখানো হতো। জানিনা আজ যেতে দেওয়া হবে কিনা। কালো পতাকা দেখানো হবে কিনা। অন্য কোনও দলের কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আজ আমাদের পরিষদীয় দলের নেতাদের যাওয়ার কথা। জানিনা তারা কতদূর যেতে পারবেন। মরিয়া হয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। একটা সন্দেশখালিতে যাওয়া আটকে কী হবে? পাড়ায় পাড়ায় সন্দেশখালি। যারা ৫০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের ইজ্জত কিনে নিয়েছে তারা সব কিছু করতে পারে। পাড়ায় পাড়ায় ধর্ষণ চলছে। পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে মৌজ মস্তি চলছে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে মহিলাদের এই দুর্দশা হবে, তাদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে, এটা কোনোদিন বাঙালি ভাবতে পারেনি। 

 

 

দেখতে যাওয়া তো দূরের কথা। ওঁর ছবি নন্দনে রিলিজ করতে দেওয়া হয়না। কারণ তিনি বিজেপি করেন। এগুলো মানবিকতার উপর নির্ভর করে। 

 

মনুকে আগে ওরাই জিতিয়ে ছিল। কারণ ওদের কেসগুলো কোর্টে লড়ত। ও না থাকলে তখন পিসি ভাইপো সবাইকে কোর্টে যেতে হতো। আজ আর দরকার নেই হয়তো। মুখ দেখাদেখি বন্ধ। শমীক আমাদের দলের কোর সদস্য। উনি সারাজীবন দলের জন্য ব্যয় করেছেন। আমার শুভেচ্ছা। বিজেপি একজন একনিষ্ট কোর কার্যকর্তাকে সম্মান দিয়েছে। 

 

ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। দিদি অনেকবার বলেছেন। মন্ত্রীরা বলেছেন। উনিও বলে যাচ্ছেন। ওনাকে দু'বার জিতিয়ে মানুষ কী অপরাধ করেছে? কেন্দ্র তার বরাদ্দ দিয়েছে। বাকি পয়সা আপনি দিন। ৪০ শতাংশ দিতে পারছেন না। ৬০ শতাংশ কেন্দ্র দিয়েছে। কাজ শুরু করতে পারেননি। ওখানকার মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবে। আর জলের মধ্যেই বসবাস করবে। 

 

তৃণমূল কোনও দল নয়। এটি বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমন্বয়। তার বহিঃপ্রকাশ মাঝে মাঝে দেখা যায়। নিচ থেকে উপর। সর্বত্র ঘা বেরিয়ে যাচ্ছে।

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link