Dilip Ghosh: `এই মুখ্যমন্ত্রী বেশিদিন সরকার বা প্রশাসন চালাতে পারবেন না`, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ দিলীপের

Thu, 25 May 2023-9:15 am,

অয়ন ঘোষাল: দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমার বাড়ি তো ঘিরে নিয়েছে ওরা। আমি আগেই আন্দাজ করেছিলাম। ওদের কিছু নেতা তৃণমূলের দালালি করছে। ওদের থেকে টাকা নিয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে। সেদিন পুরুলিয়া থেকে লোক এনেছিল। মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের লোক ছিল না। এরা বাসে এসেছিল। একেকটা বাসের ভাড়া ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এই খরচ কে দিয়েছিল? আমি যেটা বলেছিলাম, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। ওখানে গিয়ে অভিষেক বলছে, দিলীপ ঘোষের বাড়ি ঘিরে নাও। দিলীপ ঘোষ জঙ্গলমহলের মানুষ। সে এই এলাকা বোঝে। ওনার সঙ্গে জঙ্গলমহলের সম্পর্ক কি? কালীঘাটে বসে বসে বলে দিচ্ছে, জঙ্গলমহল হাসছে। তার জন্য ওখানকার লোকেরা কি হাসবে? সেটিং এর রাজনীতি বন্ধ করুন। কুড়মি সমাজকে বিপথে পরিচালনার চেষ্টা বন্ধ করুন'। 

তিনি বলেন, 'ওনারা ক্ষমা চাওয়ার রাজনীতি করেন। আমরা অনৈতিক কাজ করিনা। তাই আমরা কারুর কাছে ক্ষমাও চাইনা। ওদের প্রতিদিন কেউ না কেউ কিছু না কিছু করে আর ক্ষমা চায়। কেষ্টর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন? পার্থর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন? সমাজকে এরা প্রতারিত করেছে। এদের হয়ে কে ক্ষমা চেয়েছে? ওনার তো এরা ডান হাত বাঁ হাত। ওদের ডাকাত তৈরি করেছে কে? তার জন্য কি কেউ ক্ষমা চেয়েছে?' 

দিলীপ বলেন, 'ইডি সিবিআই প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটির সম্পত্তি দেখিয়েছে। গোটাটাই বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বাকি যে নেতারা এই অনৈতিক কাজে জড়িত, এদের প্রত্যেকের সম্পত্তি ক্রোক করতে হবে আর জেলে ঢোকাতে হবে। নাহলে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না'। 

 

রাজ্য জুড়ে বোমা বন্দুকের খেলা চলছে। বোমা ফাটিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। মানুষ মারা হচ্ছে। তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। অন্যকে মারছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি। তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গকে আফগানিস্তান বানিয়ে দিতে চাইছে ইচ্ছাকৃতভাবে। যাতে সবাই ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে আর ওরা রাজত্ব করতে পারে। 

 

ওনার সিদ্ধান্ত সকালে সন্ধায় বদলায়। আসলে ওদের যাওয়ার মুখ নেই। কিছু সিনিয়র নেতা পাঠিয়েছিলেন। তাদের গো ব্যাক বা চোর শ্লোগান শুনে ফিরে আসতে হয়েছে। তারপর মমতা ব্যানার্জি যাবেন কোন হিম্মতে? কলকাতা আর কালিঘাটের মধ্যে সীমিত হয়ে যাবেন। এরপর আর কোথাও বেরোতে পারবেন না। কারণ সারা বাংলা ক্ষুব্ধ। 

 

দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এই সরকার আর এই মুখ্যমন্ত্রী বেশিদিন সরকার বা প্রশাসন চালাতে পারবেন না। মাৎস্যন্যায় পরিস্থিতি। পুলিস প্রশাসন দুর্নীতির দায়ে ধরা পরেছে। তার পরিবার দুর্নীতির দায়ে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ছোট নেতা থেকে অফিসার, সবাই দুর্নীতিতে লিপ্ত। এভাবে কোনো প্রশাসন চলতে পারে না। সার্বিকভাবে পতনের দিকে যাচ্ছে। এই সরকারকে না সরালে বাংলার মানুষের কপালে অশেষ কষ্ট আছে'। 

 

উনি নিজে কোথায় আছেন? উনি যদি একটা সিনেমা করতেন, এই কথা মানাতো। মিঠুন চক্রবর্তী ৭০ এর উপর বয়স। রাজনীতির আঙিনায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবার সিনেমা হিট করেও দেখিয়ে দিচ্ছেন। যিনি বলছেন, তিনি কোথায়? তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়ে তার প্রতিভা শেষ হয়ে গিয়েছে। উনি সিনেমার মানুষ। কিন্তু রাজনীতিক হিসেবে মোটেও সফল নন। দেব কে তার পার্টির লোক কষ্ট দিচ্ছে। উনি কিন্তু তাও সিনেমা ছাড়েন নি। 

 

দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সৌরভ গাঙ্গুলী ইদানীং কালে বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ আইকন। যেখানে গেছেন, সোনা ফলিয়েছেন। তিনি রাজনীতি করবেন কিনা তা নিয়ে অনেক দিন ধরে জল্পনা চলছে। তৃণমূল চেয়েছিল, উনি তাদের হয়ে রাজনীতি করুন। উনি ওই পচা পার্টিতে যাবেন কেন? তাই জোর করে ওনাকে বিজেপিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার তত্ব খাড়া করা হচ্ছে। যখন অমিতাভ বচ্চন গুজরাটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হলেন, তখন তো কেউ কিছু বলেনি। আজ যদি সৌরভ গাঙ্গুলী একটি বাঙালি রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন, তাতে তো আনন্দ হওয়া উচিত। তাতে অন্যদের এতো পেট খারাপ হচ্ছে কেন? ওরা সৌরভের জন্য কিচ্ছু করেনি। তাকে যোগ্য সম্মান দেয়নি। যে কেকেআর নিয়ে দিদি এতো লাফালাফি করেন, তারাও তাকে নেয়নি। তিনি দিল্লীর টিমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তার ক্রিকেট অবদানও বাংলা কাজে লাগায় নি। সৌরভ তার নিজের জায়গায় স্বতন্ত্র। তিনি কি করবেন, সেটা তার ব্যাপার। তিনি নাকি পয়সা পেলে সব করেন? তাকে এতো ছোট করবেন না। তার পয়সার কোনও অভাব নেই'।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link