`ওনার ইচ্ছে ছাড়া এই রাজ্যে গাছের পাতা নড়েনা`, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

Sat, 26 Nov 2022-8:24 am,

কারও সঙ্গে কারুর ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে। বিধানসভা সৌজন্যের জায়গা। সাংবিধানিক ব্যবস্থা। সবাই বসে কথা বলে। আমার অন্যায় কিছু মনে হয়নি। আমি নিজেও বিরোধী  দলের সঙ্গে সৌজন্য রেখেছি। তবে যে প্রস্তাব উনি দিয়েছেন, চলুন যাই সবাই মিলে দিল্লি থেকে টাকা নিয়ে আসি, তাতে আমার আপত্তি আছে। আমরা টাকা নিয়ে আসব আর সেই টাকায় তিনি মৌজ মস্তি করবেন, আর তার লোকেদের পুষবেন, এটা হতে পারেনা। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু অধিকারীর প্রণাম করা বিষয়ে তিনি বলেন, ওনাদের পুরনো সম্পর্ক। অনেকে কালীঘাটে প্রণাম করে আসে। উনি ওখানে করেছেন। এটা পাবলিক ম্যাটার নয়, ব্যাক্তিগত ম্যাটার। 

যবে হোক, যাই হোক, যেই করুক, সবই আসলে ওনার ইচ্ছায় হয়েছে। ওনার ইচ্ছে ছাড়া এই রাজ্যে গাছের পাতা নড়েনা। এমপি, মন্ত্রীরা ওনার ইচ্ছে ছাড়া প্রস্রাব, পায়খানা করেন না। যদি কেউ বলে, আধিকারিকরা সব করেছেন, উনি কিছু জানেন না, সেই কথা হজম করা মুশকিল। ওপর থেকে সিগন্যাল এসেছে, তাই নীচের তলার লোকেদের ইডি, সিবিআই ডাকছে।

উনি হাজার হাজার অনুব্রত তৈরী করতে চাইছেন। কিন্তু আর কেউ অনুব্রত হতে চাইছে না। অনুব্রতর দুর্দশা সবাই দেখছে। সবাই বুঝতে পারছে, অনুব্রতর মতো হলে বাকি জীবন জেলে কাটবে। যারা বলছিল বাঘ খাঁচায় আছে, তারা বুঝেছে বাঘ বেরোতে বেরোতে সব দাঁত পড়ে যাবে। কিন্তু এটাও ঠিক, তৃণমূল ডন তৈরির রাজনীতি করে। জেলায় জেলায় একটা করে ডন তৈরী আছে বা তৈরির কাজ চলছে। যারা সেই জেলা থেকে কাটমানি, সিন্ডিকেট এবং অন্যান্য টাকা তুলে দেবে। সেই টাকায় দল চলে। সেই উইকেট পড়ে গেলে দল চাপে পড়ে যায়। আজ যে বীরভূম অনুব্রতকে দেখেছে, তার ওপর আগে থেকেই মানুষ বিরূপ ছিল। বিধানসভায় আমরা সামান্য ভোটে হেরেছি। আজ অনুব্রত নেই, মনে হচ্ছে যেন ওখানে তৃণমূল নেই। তাই নতুন অনুব্রত তৈরির চেষ্টা চলছে। 

আমরা সব জায়গায় এগিয়ে আছি। সঠিকভাবে ভোট হয়না বলে বোঝা যায়না। 

 

আমি অবাক হয়ে যাই, সত্তরের বেশি বয়স। বিলাসবহুল জীবন যাপনে অভ্যস্ত উনি। এই ঠান্ডায় রাঢ় বাংলার মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। সংগঠন চাঙ্গা করছেন, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করছেন। এই নতুন রূপ আমাদের কর্মীদের পক্ষে উৎসাহজনক। ওনাকে ঘিরে তৈরী হওয়া এই উন্মাদনা দলে নতুন জোয়ার আনবে। 

আমি ব্রাজিলের খেলা দেখতে পারিনি। রাত হয়ে গিয়েছিল। বাকিদের যে পারফরমেন্স দেখছি, তাতে একটা কথা স্পষ্ট, এশিয়ার ফুটবল এগোচ্ছে। অনেক উলট পুরান হবে। ক্রিকেট আমাদের কাছে ব্যায়বহুল খেলা। তাই ফুটবল আমাদের প্রিয়। আমি নিজে জঙ্গলমহলে ফুটবল খেলেছি। পশ্চিমবঙ্গে খেলাধুলোয় কোনও হাওয়া বদলের সম্ভাবনা নেই। আগে রাজনীতির হাওয়া বদল হোক। তারপর খেলাধুলার হাওয়া বদল হবে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link