Dilip Ghosh: `দেশের কেউ মমতার পাশে নেই`, মুখ্যমন্ত্রীকে ফের আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
অয়ন ঘোষাল: আমি লাঠি অস্ত্র খেলেছিলাম এরকমই এক রামনবমীর দিনে। আমার নামে কেসও হয়েছিল। আজ রামনবমীতে মমতা ব্যানার্জি ধরনা দিচ্ছেন। তিনি ঈদে দুই দিন ছুটি দেন। আবার নিজেকে হিন্দু প্রমাণ করার জন্য বিজেপি সভাপতিকে আটকে রেখে নিজেই গঙ্গা আরতি করেন। তার চালাকি ধরা পড়ে যায় মাঝেমধ্যেই।
আমার সঙ্গে তো পার্থবাবুরও আলাপ ছিল। কেষ্টর সঙ্গে কোনও দিন দেখা হয়নি। আমার ফাইল বা দলিল কোথায় থাকবে? ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে কেনা বাড়ি। আমি যে আবাসনে থাকি তার সেক্রেটারিকে দিয়েছি। সে কি করে আমার জানার দরকার নেই। তারা তো বড় বড় পার্টি অফিস করেছেন। কোথাও এক টুকরো কাগজ নেই। হরিশ চ্যাটার্জিকে হরিশ ব্যানার্জি করে নিয়েছেন। ৩৫টা প্লট লুঠ করেছেন। পাড়ায় পাড়ায় দলের নেতারা টাকা রাখার জন্য ফ্ল্যাট কিনেছেন। টাকার কোনও হিসেব নেই। ওপর থেকে নিচ, দুর্নীতিতে সবাই যুক্ত। দিলীপ ঘোষের দিকে আঙ্গুল তোলার আগে দুই বার ভাবা উচিৎ।
এবারই তো দিল্লিতে ধরনা দিতে চেয়েছিলেন। যান নি। কারণ ওনার সঙ্গে কেউ নেই। কেউ আসবে না। একা বসতে হবে রাস্তায়। ডায়লগ দিচ্ছেন বড় বড়? এখন দৌড় কলকাতায় সীমাবদ্ধ। গোয়া, আসাম, ত্রিপুরা সব হয়ে গেছে। লোকও তৃণমূলকে চিনে গেছে। কত বড় দুর্নীতিগ্রস্থ পার্টি। হিংসার রাজনীতি করে। সারা দেশে কেউ পাশে নেই। যেভাবে রাজ্য জুড়ে ধরনা আন্দোলন চলছে। কারুর অধিকার নেই। জঙ্গলমহল, মতুযা, রাজবংশী কেউ পাশে নেই। বাকি ছিল সংখ্যালঘুরা। তারাও বালিগঞ্জ আর সাগরদিঘিতে বুঝিয়ে দিয়েছে। উনি বুঝে গেছেন সারা দেশ পাশে নেই। পশ্চিমবঙ্গও নেই।
ওনারা কোর্টে যান। কে বারণ করেছে। তার আগে তো মমতা ব্যানার্জিকে শাস্তি পেতে হবে। উনি দ্রৌপদী মুর্মু নিয়ে কি বলেছেন? রাজ্যপাল নিয়ে কি বলেছেন? তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নাড্ডা জিকে কী বলেছেন? তারা যেন আমাদের কালচার শেখাতে না আসে।
উনি চোর ডাকাত বলেছেন। যারা ওনার পাশে ছিল। ২০২১ এ আপনাকে ৬০ শতাংশ পোস্টাল ব্যালট দিয়েছে। তারা ন্যায্য দাবি চাইতেই চোর ডাকাত হয়ে গেল? এর আগে বলেছিলেন ঘেউ ঘেউ। তারা কাটমানি চায়না। সরকারি টাকা ঝাড়ছে না। আপনাকে কেন্দ্র যে টাকা দিচ্ছে, তা যাচ্ছে কোথায়? বাকি আপনি রাজ্যের রেভিনিউ থেকে দিন। সড়ক ভেঙে পড়ে আছে। এখন রাস্তাশ্রী করতে এসেছেন? আগে সড়ক যোজনার টাকা এসেছে। কাজে লাগাননি কেন?
কাল উদ্দেশ্য ছিল, ওদের চমকানো। মাঝে বোমা মারার হুমকি দিল। মাঝে লোক পাঠিয়ে মারপিট করাল। পারেনি, ওরা অধিকারের দাবিতে অনড়। মমতা ব্যানার্জি নিজেও আন্দোলন করেন। সরকারি কর্মীদের আন্দোলন করতে দেবেন না, এই দুই রকম নীতি চলতে পারে না।