`একজন সন্ন্যাসীকে আক্রমণ করছেন মমতা`, দাবি Dilip-র
সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। স্বভাসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও।
প্যানডেমিক সিচুয়েশনে তৃণমূল দেশের মধ্যে থেকে রাজ্যের লোককে ফিরিয়ে আনতে পারেননি। তাসত্ত্বেও এখন তারা বড় বড় কথা বলছেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেন যে যারা কিছু করতে পারে না তারা লোকের সমালোচনা করে। লকডাউনে দেশের মধ্যে লোক আনতে পারেননি আর বিদেশে যেখানে যুদ্ধ হচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনা করছেন। তাঁর দাবি তৃণমূল চাইছেন দু একজন মারা যাক সেটা নিয়ে এখানে রাজনীতি হবে, বনধ হবে। কারও সর্বনাশ কারও পৌষ মাস বলে ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন যে পুতিন এবং জেলেনস্কিকে বুঝিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে পাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই সেই কারনে যুদ্ধের প্রসঙ্গে কথা বলছেন বলে অভিযোগ দিলীপের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে একজন সন্ন্যাসীকে আক্রমণ করছেন তা উত্তর প্রদেশের মানুষ ভালোভাবে মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন স্থানীয় নেতৃত্ব দলের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। একাধিক পৌরসভায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তারা। দিলীপ ঘোষ বলেছেন ভোটটা সাধারন মানুষ দেননি। তৃণমূলের পার্টির লোক আর পুলিস ভোট করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। নির্দলরা তৃণমূলের পার্টির পুরনো লোক তাই তারা দলের হাতেই রয়েছেন বলে দাবি দিলীপ। নিজেদের মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হয়েছে তাই অন্যরা ভোট পাবেন না বলেছেন তিনি।
কলকাতায় জাতীয় গ্রন্থাগারে বিজেপির বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে এই বৈঠকে হিরণকে ডাকা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে এই বৈঠকে হিরণকে ডাকা হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তার জানা নেই। তিনি জানিয়েছেন যে যারা দলের পদাধিকারী আছেন তাদের নিয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা।