Dilip Ghosh: `পুলিস তৃণমূলের মিটিং মিছিলে লোক নিয়ে আসে`, দাবি দিলীপ ঘোষের
ভবানীপুরের ঘটনার বিষয় দিলীপ ঘোষ বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ীর কাছে ঘটেছে ঘটনা। তার বাড়িতে ১০০ পুলিস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ীর সামনে ৫০ পুলিস দাঁড়িয়ে থাকে। তাও এরকম ঘটনা। এরা বহিরাগত বলে কি বাঁচার অধিকার নেই? এতদিন বিজেপির লোককে মারা হত। এখন পাবলিককে মারা হচ্ছে। ভাইপোর এলাকায় পেট্রোল পাম্পে পুলিশের সাব ইনসপেক্টরকে খুন করে ফেলে রাখা হয়েছে। পুলিস বুঝতেই পারছে না। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।
আলিপুরদুযারের সভার বিষয় তিনি বলেন, সভায় এসে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ল। মমতা খুব লাইভ ছবি তুললেন। জল খাওয়ালেন। ১১ বছরের কিশোরী পলিটিক্যাল মিটিং-এ এল কেন? তার মানে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সবুজ সাথীর সাইকেল পেয়েছে বলে তাকেও আসতে হবে? তাঁর দাবি মরুক বাঁচুক সবাইকে আসতে হবে? মা, পরিবার বাচ্চা, সবাইকে আসতে হচ্ছে। কারণ সবুজ সাথী অথবা লক্ষীর ভাণ্ডার পেয়েছে। জল খাইয়ে সিমপ্যাথি তৈরি করছেন। এটা নাটকবাজি।
কেকে-র প্রসঙ্গে তাঁর দাবি একইরকম ভাবে কেকে-কে নিয়ে এসেছিল তৃণমূল। চুড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাঁকে নিয়ে আসা হয়। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে এবং এটা বন্ধ হওয়া উচিৎ বলেও দাবি করেন তিনি।
রোদ্দুর রায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের লোকেরা যে রকম কটু কথা ব্যবহার করে, এটা ওদেরই কালচার। বাম জমানায় এরকম কটু কথা হলে বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করত। এখন বুদ্ধিজীবীদের মেরুদণ্ড নেই। রোদ্দুর রায়ের ভিডিয়ো দেখে নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে মানুষ লজ্জা পাবেন।
পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তাঁর দাবি গত পঞ্চায়েতে ৩৪ শতাংশ আসনে বিজেপিকে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। এবার বোধহয় সেটাই পঞ্চাশ শতাংশে বেঁধে দেওয়া হল বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন পশ্চিমবঙ্গে যেকোনও লোকাল বডি ইলেকশন এইভাবেই হয়। পুলিস তৃণমূলের মিটিং মিছিলে লোক নিয়ে আসে এবং বিরোধীদের কেস দেয় বলে তাঁর দাবি।