Dilip Ghosh: `নেতাজি বন্দনায় প্রতিযোগিতা ভাল`, প্রাতঃভ্রমণে মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
এটা ভাল তো। খারাপ কি? নেতাজি বন্দনায় প্রতিযোগিতা ভাল। আরও ৫০ বছর আগে হওয়া উচিৎ ছিল । তাহলে আজ আমাদের এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো যুব সমাজ আদর্শ পেত। নেতাজিকে সাধারণ মানুষের থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সেই চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে। যুব সমাজ আইকন খুঁজে বেড়াচ্ছে। সেই সুযোগ নরেন্দ্র মোদী করে দিয়েছেন।
নেতাজি কন্যাকে নিয়ে বিতর্ক আছে। তাই উনি যেটা বলছেন সেটাই সঠিক, তা মানা যায়না। আবেগ আছে। আঘাত না দিয়ে কাজ করতে হবে। মৃত্যু নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যেমন গবেষণা করছেন করুন। তার আবেগ ও আদর্শ নিয়ে আমরা এগিয়ে চলি।
ত্রিপুরা, গোয়া, আসাম। আমরা অনেক নাটক দেখেছি। মেঘালয়ে আরও একটা ফ্লপ শো হতে চলেছে।
আঙুর ফল টক। ওনারা ভেবেছিলেন চোখ দেখিয়ে আঙ্গুল দেখিয়ে যেরকম চলছে, সেরকমই চলবে। সেটা হচ্ছে না। উনি বলছেন ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকা উচিৎ? তাহলে অম্বিকেশ মহাপাত্রকে জেলে ঢুকিয়েছিলেন কেন? উনি তো একটা কার্টুন শেয়ার করেছিলেন। বিজেপির হাজার হাজার ছেলেকে শুধু ফেসবুকে পোস্ট করায় জেলে ঢুকিয়েছিলেন কেন? পুলিস বাড়িতে গেছিল কেন? এখন আটকাতে পারছেন না। তাই বড় বড় কথা বলছেন।
আই এস এফ আর সিপিএম সমঝোতা করেছিল। ফলে পাশে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। বিরোধি দল প্রোগ্রাম করতে গেলেই তাকে আটকাবে কেন? আমরা তার ভুক্তভোগী। আমরা লড়াই করেছি। মানুষ সাহস পেয়েছেন। আইএসএফ একটা পলিটিকাল পার্টি। তাদের প্রোগ্রাম করতে দেবেন না। বোম মারবেন, এটা কেউ সমর্থন করবেন না। আমরা চাই, মানুষকে কষ্ট না দিয়ে আন্দোলন হোক।
টাকা দিয়ে যারা রাজনীতি করে, তাদের কাছে টাকাই সব। তারা আদর্শের কথা জানেই না। যারা বলছে, তারা প্রমাণ করুক। তারা হয়তো আসা আটকাতে চেয়েছিল। পারেনি, তাই নার্ভ ফেল করছে।
এরাই ওদের অ্যাসেট। এদের হ্যান্ডলার বলে। সবার সঙ্গে কুন্তলের ছবি আছে। আজ অনেকেই চিনতে চাইছে না। অভিষেকের ডান দিকে বিনয় মিশ্র আর বাঁদিকে কুন্তল ঘোষ থাকে কেন? উনি বলছেন আমি সৎ। অসৎ প্রমাণে ফাঁসি দিয়ে দাও। যদি সেরকম ঘটনা ঘটে, হয়তো একদিন সেই ছবিও দেখা যাবে।
চলবে তো। যত তদন্ত এগোবে, তত আরও নাম আসবে। নতুন নতুন টাকার ঠিকানা পাওয়া যাবে। একটু ধিরে হচ্ছে। আরও ফাস্ট করতে হবে। কোথায় হাত যাবে দেখতে থাকুন। ওদের তো এই কারণেই এতো টেনশন। এই যে কথায় কথায় চড় থাপ্পড় মেরে দিচ্ছে, এগুলো হচ্ছে ওই টেনশন।