এসআই খুনে অভিযুক্ত গুরুং বিজেপির আশ্রয়ে! কার্যত স্বীকারোক্তি দিলীপের
অঞ্জন রায়: বিমল গুরুং বিনে পাহাড়ে বিজেপি যেন মণি হারা ফণী! শনিবার তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন দিলীপ ঘোষ। ইঙ্গিত দিলেন, লোকসভা ভোটের আগে পাহাড়ে ফিরতে পারেন গুরুং।
২০১৭ সালে অক্টোবরে পাহাড়ে অমিতাভ মালিক হত্যার পর থেকে বেপাত্তা বিমল গুরুং। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে খুনের অভিযোগ। একাধিক জায়গায় চালানো হয় তল্লাশি। কিন্তু গুরুংয়ের খোঁজ মেলেনি। জল্পনা গুরুংয়ের অজ্ঞাতবাসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
শনিবার দিলীপ ঘোষের কথাতেও ইঙ্গিত মিলল। গুরুংয়ের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নেপথ্যে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''আমাদের সঙ্গে আছেন গুরুং। আমরা তাঁকে সহযোগিতা করছি। জোটসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন''।
দিন কয়েক আগে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিমল গুরুং। দ্বিতীয় দফায় ১৮ দার্জিলিংয়ে ভোট। লোকসভা ভোটে অমর সিং রাইকে দার্জিলিং আসন থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিনয় তামাং, অনিক থাপা জানিয়ে দিয়েছেন লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেকেই সমর্থন করবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের রাজনীতিতে কামব্যাক করার মরিয়া চেষ্টায় বিমল গুরুং ও রোশন গিরিরা।
দার্জিলিঙে বিমল গুরুংকে ছাড়া জেতা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে বিজেপি। আর সে কারণে ভোটের আগে গুরুংকে পাহাড়ে আনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ''গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সংসদে লিড দিয়েছিল। আইনি কারণে বাইরে ওনাকে রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে কেস চলছে। গুরুং সেখানকার নেতা। জোর করে কাউকে নেতা বানানো যায় না। সমতলের গোর্খারা বিজেপির সঙ্গে থাকবে। হিংসা ও অস্থিরতার রাজনীতি হচ্ছে''।
কিন্তু কীভাবে আসবেন? দিলীপের কথায়, ''এটাও হতে পারে আইনিভাবে কোনও রাস্তা বেরাবে। জামিনও পেতে পারেন। বা অন্য কোনওভাবে আসতে পারেন তিনি''।