সিভিক শিক্ষক নিয়োগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী, খোঁচা দিলীপের
অঞ্জন রায়: শিক্ষকের অভাব দূর করতে স্নাতকদের স্কুলে শিক্ষানবিশ করার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ পাশ করার পর স্কুলে শিক্ষকতায় শিক্ষানবিশি করতে পারবেন যুবক-যুবতীরা।
এভাবে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, এটা সিভিক শিক্ষক নিয়োগ বলা যেতে পারে।
নবান্নের সভাঘরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, স্নাতক পাশের পর স্কুলে শিক্ষকতায় শিক্ষানবিশি করার সুযোগ পাবেন যুবক-যুবতীরা। প্রাথমিকে শিক্ষানবিশ শিক্ষক পাবেন ২০০০ টাকা। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষানবিশ শিক্ষক পাবেন মাসে ২৫০০ টাকা।
২০০০-২৫০০ টাকায় কীভাবে সংসার চলবে? প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,''নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এমনটা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তবে এতে লাভ হবে না। এটা নির্বাচনী গিমিক''।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর শিক্ষানবিশ গুণমান পর্যালোচনা করা হবে। দেওয়া হবে শংসাপত্র।পরে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগ করা হবে স্কুলে।
দিলীপ প্রশ্ন তুলেছেন, শংসাপত্র কারা দেবেন? ভবিষ্যত্ চাকরির ক্ষেত্রে শংসাপত্রের কী মূল্য থাকবে? পার্শ্ব শিক্ষকদেরই তো স্থায়ী করা হয়নি।