মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভাত খাচ্ছেন না! ভয়ঙ্কর বিপদের আশঙ্কা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ভাত খান না। ভাতের বদলে অন্য কোনও খাবারে খাওয়ার অভ্যাস করছেন অনেকে।
ভাত না খেয়ে ওজন কমানোর চিন্তায় বেছে নিয়েছে অনেকেই, তবে ভাত খাদ্য ও পুষ্টির মূল স্তম্ভ, তাই ভাত খাওয়া বর্জন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভাত মানেই হু হু করে ওজন বাড়বে এমন ধারণা যে ভুল তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে পরিমাণ মতো ভাত খাওয়া দরকার, পুরোপুরি বর্জন করারও দরকার নেই৷
কখন ভাত খাওয়া উচিত এবং এর অসুবিধাগুলি কী কী! অনেকেই এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। অনেকেই মনে করেন, রাতে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক ফলে বেশিরভাগ মানুষ রাতে ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। ভাতের খেতে পছন্দ করলে, রুটি খেয়ে পেটের গোলমালে না ভুগে দিনে একবার কি দু’বার ভাতই খান৷
ভাতের গ্লাইকোজেন থাকায় তা গলে দেরি করে। ভাতকে বলে 'ফ্রি ফুড'৷ কারণ এতে সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, গ্লুটেন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে না৷ চর্বি থাকেই না প্রায়, স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না৷ বরং ভাতে থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ, যার ফলে শরীরে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা নেয়৷ এছাড়াও ফাইবার থাকার ফলে পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন, সুগার এবং রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ভাতে আছে প্রোটিন–ভিটামিন–মিনারেলস৷ সব্জির সঙ্গে ভাত খেলে তার উপকারিতা বাড়ে।
চিকিৎসকদের মতে, ভাত হজম করা সহজ, তাই এটি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় না। ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। ভাতে গমের চেয়ে কম ক্যালোরিও রয়েছে, এতে ফ্যাটযুক্ত উপাদান রয়েছে এবং কোলেস্টেরল মুক্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের থেকে রাতে কম পরিমাণে মুসুর ডাল ও ভাত খেলে হার্ট ও ব্লাড সুগারকে ঠিক রাখে। ভাত কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
চিকিৎসকদের মতে, অসুস্থ থাকলে রাতে ভাত খেতে কোনও সমস্যা নেই। তবে ওজন বেশি হলে বিকেলের দিকে ভাত খাওয়া উচিত কারণ বিপাক কার্য বিকেলের দিকে ভালো হয়। যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁদের পক্ষে ভাত সীমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো।