মোচার ম্যাজিক, রোগ সাফাই করতে চাইলে জেনে নিন গুণাগুণ
হিমোগ্লোবিন কম? সুগার চড়ছে? একের পর এক রোগ বাঁধিয়ে বসছেন? মোচা খান। ভিটামিন, আয়রন, মিনারেলস সব আছে মোচাতেই।
কীভাবে কাজ করে মোচার ম্যাজিক! এই যেমন ধরুন পাশের বাড়ির, ঠাকুমা-নাতনির রসায়ন। তিরাশি বছর বয়সেই ঠাকুমা দিব্যি ফিট। আর নাতনিও তো ছুটে বেড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, ঘরোয়া টোটকাই নাকি এমন সুস্থ রেখেছে।
শরীরে যদি রক্তের অভাব দেখা দেয়? ঠিক এই সমস্যাতেই ভুগতেন অঙ্কিতা। ঠাকুমার ঘরোয়া টোটকাতেই কেল্লা ফতে। অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমেছে অনেকটাই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একশো গ্রাম মোচাতে রয়েছে ১.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৫.১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩২ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১.৬ মিলিগ্রাম লোহা, ০.৭ গ্রাম ফ্যাট, ১৮৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ০.২ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেবিন, ৪২০ মিলিগ্রাম ভিটামিন C, ১.৩ গ্রাম আঁশ, ০.৫ মিলিগ্রাম থায়ামিন।
একাধিক রোগ প্রতিরোধে মোচা অতুলনীয়। ইনফেকশন কমায়।
যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় মোচা। নিয়মিত মোচা খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ডায়াবেটিস। মোচার ফাইবার ও আয়রন রক্তাল্পতা কমাতে ও রক্ত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
প্রচুর সলিউবল ও ইনসলিউবল ফাইবার থাকায় মোচা হজম ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন কমায়। এক্ষেত্রে মোচার স্যালাড বা স্যুপ খাওয়া যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন মোচা খেলে স্তনদুগ্ধের পরিমাণ বাড়ে। মোচার ম্যাগনেসিয়াম অবসাদ ও উত্কণ্ঠা কাটাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মোচা খেলে রক্তে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমস্যা কমে।
চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া রুখে দেয়। মোচা খেলে অ্যালঝাইমার্স ও পারকিনসন্সের ঝুঁকি কমে। হলুদ, গোলমরিচ গুঁড়ো ও জিরে দিয়ে মোচা সেদ্ধ করে খেলে জরায়ু সুস্থ থাকে।
মোচায় রয়েছে প্রচুর ট্যানিন, ফ্ল্যাভনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই মোচা খেলে হার্ট সুস্থ থাকে।