আল্লাহকে ‘গড’ বললে জেল! এমনই ‘অদ্ভুত’ কিছু পাকিস্তানের নিয়ম জানুন
ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ ভারত। প্রায় ১৫ শতাংশ মুসলিম বাস করেন এখানে। আরও সব ধর্মের মানুষ স্বতন্ত্রভাবে জীবনযাপন করেন। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে গেলেই ধর্মের নিয়ম পাল্টে যায়।
যে নিয়মগুলো ভারতে কোনও যৌক্তিকতা নেই, সেই নিয়মগুলো অবলীলাক্রমে মানা হয় পাকিস্তানে। এবং বেশ কিছু সংবিধানেও স্বীকৃতি পেয়েছে। জেনে নেওয়া যাক একবিংশ শতাব্দীতে পাকিস্তানে যে নিয়মগুলো এখনও মানা হয়-
ইজরায়েল- ইজরায়েল দেশটি কেমন দেখতে, তার সম্যক জ্ঞান নেই। কারণ, সে দেশে যাওয়ার অনুমতি নেই পাক নাগরিকদের।
শিক্ষা- শিক্ষার উপর কর বসানো হয়েছে এ দেশে। আইন বলছে, শিক্ষাক্ষেত্রে বছরে ২ লক্ষ টাকা খরচ করলে ৫ শতাংশ কর দিতে সে দেশের নাগরিককে। সে বই কেনার ক্ষেত্রে হোক কিংবা শিক্ষার অন্যান্য খরচে। এই আইন অনেক ক্ষেত্রে স্কুলছুট বাড়াচ্ছে বলে মনে করে ওয়াকিবহাল মহল।
রূপান্তরকামী- মনে করা হয় পাকিস্তানে রূপান্তরকামীদের সংখ্যা অনেক বেশ অন্যান্য দেশের তুলনায়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে তাঁদের যোগ দিতে বাধা নেই। কিন্তু সেনাবাহিনীতে জায়গা নেই তাঁদের।
লিভ ইন রিলেশন- বিয়ের আগে নারী-পুরুষের লিভ ইন রিলেশনে মান্যতা দেয় না পাকিস্তান।
ফোন ব্যবহার- অনুমতি না নিয়ে কারওর ফোন ব্যবহার করা সে দেশে আইনবিরুদ্ধ কাজ। জরিমানা ও জেল-ও হতে পারে।
স্প্যাম মেল- ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশ কড়াকড়ি পাকিস্তান। ওই দেশে স্প্যাম মেল পাঠালে অভিযুক্তর গুরুতর সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের কাজ আইনবিরুদ্ধ পাকিস্তানে।
আল্লাহ-আল্লাহ-সহ একাধিক আরবি শব্দ ইংরেজিতে তর্জমা করলে অর্থাত, আল্লাহকে গড বা মসজিদ কে মস্ক বলা আইনবিরোধী কাজ পাক সংবিধানে।