মেনোপজ মানেই কি বুড়ি হয়ে যাওয়া?

Tue, 16 Mar 2021-4:59 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: আধুনিকতার পাশাপাশি মোনেপজ নিয়ে কতটা জ্ঞান সমান্তরালে বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। একাংশ মহিলা ভাবেন তাদের দিন শেষ। একাংশভাবে উফফফফ বাঁচালাম। সত্যিই একটা ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি! কিন্তু জানেন কি এরপর শরীরের তেমন খেয়াল না রাখলে বিপদ বড়। আর যাঁরা ভাবছেন বুড়িয়ে গেল শরীর, তারা ভুল ভাবছেন। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। 

অনেকই ভাবেন এতে শারীরিক সম্পর্ক শেষ করতে হয়। মানসিক দিকে দিয়েও অনেকে পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু এই ভাবনাচিন্তা সম্পূর্ণ মানসিক। শারীরিক নয়। তবে  ড্রাইনেস, চুলকানি আসতে পারে। কিছুক্ষেত্রে ইনফেকশনও হতে পারে। 

সময়ের আগে অনেকের মেনোপজ হয়ে যায়। বর্তমানে মেয়েরা দেরিতে বিয়ে করে। সন্তানও দেরিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেক্ষেত্রে Premature menopause চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্কে বা লিবিডোতে সমস্যা হলে তার চিকিৎসা আছে।

মেনোপজের সময় এগিয়ে আসছে তা বুঝবেন কী করে?হট ফ্লাশ, অনিদ্রা, বুক ধড়ফড়ের মতো সমস্যা আসবে। ক্ষণে ক্ষণে মেজাজ হারিয়ে ফেলবেন আপনি। কিন্তু চিকিৎসা করলে এই সময়টিতে ভালো থাকা যাবে। 

 

 যদি কেউ ভেবে থাকেন মেনোপজের সময় পিছবেন ওষুধ খেয়ে,মনে রাখবেন তা কখনই সম্ভব নয়। যদিও বা কোথাও শুনে থাকেন এরকম ওষুধ রয়েছে। তার প্রতি ভরসা করবেন না। এক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। তবে মেনোপজ হয়ে গেলেও কৃত্রিম উপায়ে পিরিয়ড চালু রাখা যায়।

যদি আগে থেকে জানতে চান মেনোপজের সময় তাহলে হরমোন টেস্ট করাতে হবে আপনাকে।  

 ইউটেরাসের সঙ্গে ওভারি দুটো বাদ গেলে সার্জিকাল মেনোপজ হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু দিন হরমোন দিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে হয়। নইলে খুব তাড়াতাড়ি হাড় ক্ষয়ে যায়, হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনিতে স্বাভাবিক ভাবে মেনোপজ হলেও এক বার অন্তত ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া দরকার।

 

মেনোপজের পর থেকে শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে। বয়সের কারণেও নানা রোগ বাসা বাঁধে।  মেনোপজের পর অনেকের ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স হয়। এতে প্রস্রাব আটকে রাখতে পারে না। তার জন্য কিছু এক্সারসাইজ শিখিয়ে দেওয়া হয়। প্রেসার, সুগার, বা হার্টের নানা সমস্যা এড়াতে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে বলা হয়। তা ছাড়া পঞ্চান্নর পরে মেয়েদের ইউটেরাস, ওভারি, ব্রেস্ট, সার্ভিক্সের ক্যানসার বেশি হয়ে থাকে। 

মেনোপজের পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। বাড়িতে নিয়মিত ব্রেস্ট পরীক্ষা জরুরি। প্যাপ স্মিয়ার টেস্ট করানো দরকার। আয়েসি জীবনে আটকে পড়বেন না। ব্রেনকে সচল রাখতে নানা কাজ করুন। ভাত, রুটি, দুধ, মাছ, ফল, শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link