আপনার সন্তান কি খাওয়ার সময়ে Mobile - TV screen থেকে চোখ সরায় না? বিপদ ডেকে আনছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সকলের জীবন যাপনেরও পরিবর্তন ঘটেছে, ছোটদের জীবনেও তার প্রভাব পড়েছে। ছোটেদের মধ্যে প্রবল প্রবণতা রয়েছে খাওয়ার সময়ে টিভি, মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা। বর্তমান যুগের সম্ভবত একশো শতাংশ মা-বাবা এই সমস্যায় জেরবার। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন নিয়মে সামান্য বদল আনলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনার সন্তান।
ছোটদেরকে যেমন নিয়মের মধ্যে রাখা হবে, তেমনভাবেই তারা বড় হবে। সে ছোট থেকে যা দেখবে, তেমনই শিখবে। শিশুদের কাছে যে কোনও রঙিন জিনিসই আকর্ষণীয়, সেখানে টিভি, মোবাইল হলে তো কথাই নেই। টিভি বা মোবাইলের নেশায় আপনার সন্তান যাতে ডুবে না যায়, তা আপনাকেই খেয়াল রাখতে হবে। শুরু থেকেই স্থির করুন দিনের মধ্যে ঠিক কতটা সময় আপনার সন্তানকে টিভি দেখতে দেবেন।
করোনা পরিস্থিতিতে এমনিই গৃহবন্দি শিশুরা। অনলাইন ক্লাসে এখন সব শিশুদের জন্য বাধ্যাতামূলক, স্বাভাবিকভাবেই দিনে অন্ততপক্ষে ৩-৪ ঘণ্টা হাতে স্মার্টফোন পাচ্ছে শিশুরা। তাই আলাদাভাবে অন্য সময় আর তাদের হাতে স্মার্টফোন না দিয়ে পরিবর্তে তাদের সঙ্গে গল্প ও খেলাধূলা করুন।
শিশুর মোবাইল, টিভির নেশা দূর করতে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনাকে অনেক বেশি ধৈর্যশীল হয়ে উঠতে হবে। একদিনেই সন্তান টিভি, মোবাইলের প্রতি অনাগ্রহী হয়ে উঠবে না, তাকে অভ্যাস বদলের জন্য সময় দিতেই হবে। আপনার সন্তানকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার দিন। খাবার শেষ করার সময়ও বেঁধে দিন, আপনি নিজেও একই টেবিলে সন্তানের পাশে বসে খাবার খান। ঘড়ি বাঁধা সময়ে খাবার শেষ করে হাত ধুয়ে ফেলুন। তাহলে সন্তানের সময় মেপে খাবার খাওয়ার তাগিদ জন্মাবে। মনে রাখবেন সন্তান আপনাকে দেখেই শিখবে, তাই খাবার সময় সন্তানকে টিভি বা মোবাইলে যেমন ব্যস্ত থাকতে দেবেন না, ঠিক তেমনি আপনি নিজে কিংবা পরিবারের কেউ সে কাজ করবেন না। কারণ, বাড়িই শিশুর জীবনের প্রথম শিক্ষালয়।
বর্তমানে সকলেই কম-বেশি ব্যস্ত। অফিস, বাড়ির কাজকর্মের ভারসাম্য রক্ষা করাই যেন কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। একই বাড়িতে থাকলেও পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটানো হয়ে ওঠে না অনেকেরই। কিন্তু যতই ব্যস্ত হন না কেন আপনি সন্তানকে নিয়মিত সময় দিন।
সারাদিনে একবার একসঙ্গে পরিবারের সকলে খেতে বসুন। বাড়ির খুদে সদস্যটিকেও সেই সময়েই খাবার দিন। দেখবেন সকলের সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার সময় মোবাইল, টিভির কথা ভুলে গিয়েছে সে। তাতে সঠিকভাবে খাওয়ার অভ্যাস তৈরির পাশাপাশি পরিজনদের সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধনও অনেক বেশি হবে।