DPSC Exclusive: অনশনকারীদের চোখের সামনেই সরে গেল অফিস, আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের
অয়ন ঘোষাল: সরে গেল বালিগঞ্জ ডিপিএসসি অফিস। বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষবারের মতো এই অফিসে ঘন্টা দুয়েকের জন্য এসেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চেয়ারম্যান অজিত নায়েক। তিনি পাঁচ অনশনকারিকে নিজের হাতে ফলের রস খাইয়ে অনশন প্রত্যাহার করান। কিন্তু নতুন কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেন নি।
তাঁর বক্তব্য ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত প্যানেলে যতজনের নাম প্রকাশ হয়েছে, এই মুহূর্তে তত শূণ্য পদ নেই। প্রাথমিক শিক্ষা দফতর শূণ্য পদ সৃষ্টি করে তার তালিকা না দিলে এদের হাতে এই মুহূর্তে নিয়োগ পত্র দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে অনশন প্রত্যাহার করলেও বালিগঞ্জ ডিপিএসসির সামনে গত ২১ দিন ধরে চলা অবস্থান ধর্না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এরইমধ্যে আজ ভোররাতে ডিপিএসসি ভবনের সামনে এসে দাঁড়ায় পণ্যবাহী দুটি গাড়ি। ভিতরের চেয়ার, টেবিল, আলমারি, নথিপত্র, সমস্ত কিছু ভিতর থেকে বের করে ডায়মন্ডহারবারে নতুন অফিসে স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়। সকাল সাতটার মধ্যেই কার্যত খালি করে দেওয়া হয় গোটা অফিসটাই।
কি করবেন এরপর? এখানে কি আর ধর্নায় বসার কোনো মানে থাকবে? আন্দোলনকারিরা বলছেন, কাল চেয়ারম্যান মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি মুখ্যমন্ত্রী বা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এদের সাক্ষাত করাবেন।
যদি একান্তই তা না হয়, তাহলে নবান্ন অভিযান সহ বৃহত্তর আন্দলনের রাস্তা খোলাই আছে। আপাতত বালিগঞ্জ স্টেশন রোডের ১৯/বি বাড়িতে অফিস থাকুক অথবা না থাকুক, ধর্না এখানেই চলবে।