দ্রুত ওজন কমাতে Apple Cider Vinegar খান? কিন্তু এই ভুলগুলি কখনোই করবেন না
বিশেষজ্ঞদের মতে Apple Cider Vinegar খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। অনেকেই ওজন কমানোর জন্যে নিয়মিত Apple Cider Vinegar খান। কিন্তু Apple Cider Vinegar খেলে তার প্রবাবও পড়ে (Side effects)। তাই কয়েকটি ভুল কখনোই করবেন না।
দ্রুত ওজন কমাতে অনেকেই একাধিকবার অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খান। এর ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে, তাই দিনের মধ্যে মাত্র একবার Apple Cider Vinegar খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
Apple Cider Vinegar-এর গন্ধ শুঁকবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি শ্বাসযন্ত্রে কোনও সমস্যা থাকে তাহলে গন্ধ এড়িয়ে চলতে হবে। এই গন্ধে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে। ফুসফুস ড্যামেজও হতে পারে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে Apple Cider Vinegar খাবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে ইসোফেগাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাওয়ার পর ৩০ মিনিট শরীরকে বিশ্রাম দিতেই হবে, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া, ঘুম কোনওটাই চলবে না।
Apple Cider Vinegar কখনও সরাসরি না খেয়ে সবসময় জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দাঁতের জন্য কিন্তু ক্ষতিকর Apple Cider Vinegar এনামেল নষ্ট করে দেওয়ার ত্রমতা রাখে এটি। তাই ইষদুষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে খান। সেই সঙ্গে মেশাতে পারেন দারচিনির গুঁড়োও এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঠিক খাবার খাওয়ার আগেই Apple Cider Vinegar খাওয়া উচিত বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি বাড়ে ঠিকই, কিন্তু দীর্ঘদিন খেলে শরীরের ক্ষতি হয়, ঠিক খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট আগে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
যাঁদের Diabetes রয়েছে তাঁরা যদি রাতে শুতে যাওয়ার আগে ২৫০ এমএল জলে ২ টেবিল চামচ Apple Cider Vinegar মিশিয়ে খান তাহলে উপকার পাবেন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি পরিমাণ Apple Cider Vinegar খেলে দাঁত, ইসোফেগাস ও স্টমাক লাইনিং এর ক্ষতি হতে পারে। সেই সঙ্গে পটাশিয়াম লেভেল কমে যাওয়া, ডায়রিয়া, বদহজম এবং হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই Apple Cider Vinegar খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত ।
Apple Cider Vinegar খাওয়ার কয়েকটি উপকার রয়েছে, শরীর চাঙ্গা রাখা থেকে শুরু করে ত্বকের পরিচর্যা, নানাভাবে উপকারে আসে এটি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে Apple Cider Vinegar খাওয়া শুরু করলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যাওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা প্রায় ৩১ শতাংশ কমে যায়।