Dukhu Majhi of Purulia: সকাল হলেই বালতি আর চারাগাছ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সাইকেলে...
বাঘমুন্ডির সিন্দ্রি গ্রামের বাসিন্দা দুখু মাঝি। ১৫ বছর বয়সে উপলদ্ধি করেছিলেন, গাছ মানুষের জীবনে কত উপকারী! সেই থেকেই তিনি মাঠে-ঘাটে-শ্মশানে গাছ লাগাতে শুরু করেন। দুখু মাঝি যেখানেই ফাঁকা জায়গা দেখতে পেতেন, সেখানেই চারাগাছ পুঁততেন আর তার পরিচর্যা করতেন।
এই করতে-করতে আজ তাঁর ৮০ বছর বয়স। লেখাপড়া জানেন না। কিন্তু গাছের উপকারিতা বোঝেন। অক্সিজেনের জন্য গাছের প্রয়োজন, এইটুকুও তিনি বোঝেন। বৃদ্ধ বয়সেও তিনি সেই একইভাবে গাছ লাগিয়ে চলেছেন অযোধ্যা পাহাড়-লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায়।
বর্তমানে তিনি ৫ হাজারেরও বেশি গাছের অভিভাবক। ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি তাঁর। পরনে সাদা ধুতি, গেঞ্জি। সরকারি, বেসরকারি সংস্থা থেকে স্বীকৃতি শংসা ও উপহার পেয়েছেন।
পরিবার বলতে রয়েছে বৃদ্ধা স্ত্রী, এক ছেলে বিকলাঙ্গ, বড় ছেলে আলাদা থাকেন। সরকারি সাহায্য বলতে মিলেছে বৃদ্ধভাতা আর রেশনের চাল। খুবই কষ্টেসৃষ্টে চলে।
কিন্তু তাতেও কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে তিনি প্রকৃতির কোলে গাছের পরিচর্যা করে বেড়ান সারাদিন।
সকাল হলেই বন দফতর থেকে উপহার পাওয়া সাইকেলে চড়ে একটি বালতি আর চারাগাছ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ফাঁকা জায়গা দেখলেই চারাগাছ লাগিয়ে ফেলেন। গাছের পরিচর্যাও করেন নিয়মিত। শ্মশান থেকে কাঠ সংগ্রহ করে তা দিয়ে বেড়া তৈরি করে চারাগাছ রক্ষা করেন।