শাপে বর হবে ঘূ্র্ণিঝড়, জেনে নিন পুজোর ৫ দিনের আবহাওয়ার বিস্তারিত পূর্বাভাস
হাতে গোনা আর কয়েকদিন। তার পরই পুজোর আনন্দে মাতবে বাঙালি। কিন্তু পুজোর মুখে ঘূর্ণিঝড়ের খবরে কপালে ভাঁজ পড়েছে উত্সবপ্রেমীদের। ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বিশেষ করে ১০-১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাপক বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
১২ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর ১২টার পর যে কোনও সময় পূর্ব মেদিনীপুর বা দক্ষিণ ২৪ পরগনা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'তিতলি'। কিন্তু ঝড় কেটে গেলেই ফের উঠবে সূর্য। তবে কি পুজোর দিনগুলিতেও অঝোরে ঝরবে বৃষ্টি? নাকি পুজো কাটবে ঝলঝমলে? কী বলছেন আবহবিদরা।
পূর্বাভাস অনুযায়ী পুজোর পাঁচ দিন অর্থাত্ ১৫-১৯ অক্টোবর দক্ষিণবঙ্গের আকাশে চলছে মেঘ রদ্দুরের খেলা। ১৫ তারিখ ষষ্ঠীর আগেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশ থেকে বিদায় নেবে দুর্যোগ। তবে রয়ে যাবে বেশ কিছুটা জলীয় বাষ্প। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ থাকবে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। যার জেরে পুজোর প্রথম দিকে বিক্ষিপ্তভাবে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দেখে নিন পুজোর প্রতিদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
দেবীর বোধনের সময় দক্ষিণবঙ্গের আকাশ থাকবে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। উপকূল লাগোয়া কোনও কোনও এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্-সহ বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সকালের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি। রাতের দিকে বৃষ্টির আশঙ্কা কমবে। ষষ্ঠীতে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা থাকবে বেশ মনোরম। দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা রয়ে গেলে দিনে কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে।
বৃষ্টির আশঙ্কা ছাড়াই এবারের শারদসপ্তমীতে নিশ্চিন্তে অঞ্জলি দিতে পারবেন বঙ্গবাসী। সপ্তমীতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে হতে পারে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে ঠাকুর দেখার ভিড়েও ঘামে ভেজার সম্ভাবনা কম।
এবারের অষ্টমীতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আকাশ থাকবে পরিষ্কার। সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
নবমীতেও আকাশ থাকবে পরিষ্কার। সর্বোচ্চ ও সর্বনিন্ম তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।
দশমীতে বিসর্জনের সময়ও আকাশ থাকবে ঝলমলে। তবে চড়া রোদে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
পুজোর মুখে ঘূর্ণিঝড়ে আশঙ্কার ভাঁজ পড়েছিল বাঙালির কপালে। তবে তার কোনও প্রভাব উত্সবে পড়ার সম্ভাবনা কম বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। তবে ১০-১৩ তারিখ প্রবল ঝড়ে উপকূলবর্তী ২ জেলা কলকাতায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পুজোর মুখে ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষতি হতে পারে মণ্ডপের সাজসজ্জার। তাছড়া মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা মানতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে পুজোর মুখে বৃষ্টিতে আমন চাষে ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন চাষিরা।