Durga Puja 2021: ২ মিলিমিটারের এই দুর্গার কাঠামো ছোট্ট একটি দেশলাই কাঠি
শারদোৎসব এলেই বাঙালির মন নেচে ওঠে। কেউ প্রস্তুতি নেন সুবিশাল মণ্ডপ গড়ে দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে। কেউ সুবিশাল প্রতিমা গড়ে তাক লাগানোর কথা ভাবেন। তবে রায়গঞ্জ শহরের বীরনগরে মানসবাবুর এক চিলতে ঘরে এখন কেউ ঢুকলে তিনি অবাক হবেনই। উচ্চতা নয়, বেঁটেত্বই এই দুর্গার বৈশিষ্ট্য। এই দুর্গা ২ মিলিমিটারের দুর্গা!
ছোট্ট এক পিঁপড়ের চেয়েও ছোট এই দুর্গা প্রতিমা। কাঠ, খড়, মাটি, রঙ-- সবই লাগছে এই দুর্গা তৈরিতে। কিন্তু এই দুর্গা প্রতিমা খালি চোখে খুব ভাল করে দেখা যায় না। আতস কাচের মাধ্যমে দেখলে তবেই তা পরিষ্কার বোঝা যায়। মানসবাবু এই প্রচেষ্টা ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জবাসীর মন কেড়েছে।
রায়গঞ্জের বীরনগর। এখানেই একচিলতে ঘরে নিজের কর্মশালায় নিবিড় সাধনায় ২ মিলিমিটারের দুর্গা প্রতিমা গড়ছেন মানস। পেশার দিক থেকে চশমার কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে পাশাপাশি বিভিন্ন আর্ট-সংক্রান্ত কাজও করতেন। ছোটোবেলা থেকেই ক্ষুদ্র শিল্পকলার প্রতি টান ছিল তাঁর। সেই নেশার বশেই তিনি এই ছোট্ট দুর্গা গড়ার কাজ করছেন।
তাঁর এই দুর্গার কাঠামো দেশলাইয়ের কাঠি। এই কাঠিকে কাঠামো করে মাটি, খড়, রঙের ব্যবহারে তিনি তৈরি করে তুলছেন এই দুর্গা প্রতিমা। শুধু দুর্গা নয়, গণেশ, লক্ষ্মী, কার্তিক, সরস্বতী, অসুর এবং সিংহ পর্যন্ত বানাচ্ছেন তিনি।
এর আগে যথাক্রমে ৬ মিমি, ৫ মিমি, ৩ মিমি দুর্গা বানিয়েছেন মানস। এবার তিনি ২ মিমি সাইজের দুর্গা বানাচ্ছেন। এবারের প্রতিমা এতই ছোট যে তা খালি চোখে দেখা কঠিন।
ক্ষুদ্র প্রতিমা বানাতে তাঁর ভাল লাগে। তবে এই কর্মকান্ডের পেছনে মানসবাবুর একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষাও আছে। তা হল অণু-শিল্পী হিসেবে রেকর্ড বুকে নাম তোলা। তা যদি হয় তবে কুলিক নদীর তীরবর্তী শান্ত এই জনপদে একটা আলোড়ন তৈরি হবেই।