Durga Puja Tour: কখনও মেঘ, কখনও রোদ; পুজোয় মন টানছে পাহাড়
পুজোর আগে সেজে উঠছে পাহাড়। পুজোর মুখে পাহাড়ের বিভিন্ন স্পটে বইছে খুশির হাওয়া। কেননা, করোনা আবহ টপকে গিয়ে এখন সেখানে পর্যটকদের ভিড়ের সম্ভাবনা।
সেই ভিড়ের কথা ভেবেই পর্যটকদের জন্য সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পাহাড়ের বিভিন্ন হোম স্টে এবং লজ। গত বছর করোনা আবহে সেভাবে পর্যটক আসেননি পাহাড়ে। তবে এখন করোনার প্রকোপ কিছু কমতে পাহাড়মুখী হচ্ছেন কেউ কেউ।
যেমন সুন্তালে। নিউ মালবাজার রেল স্টেশন থেকে গরুবাথান ব্লকের এই সুন্তালের দূরত্ব প্রায় ৪৪ কিলোমিটার। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ ধরে পৌছে যাওয়া যাবে সুন্তালেতে। ইতিমধ্যে পর্যটকেরা আসতেও শুরু করেছেন এই এলাকায়। এখানকার আবহাওয়াও অপূর্ব। বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে। যেখানে অর্গানিক শাকসব্জিও মেলে পর্যটকদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য। সব মিলিয়ে বেশ আকর্ষণীয় পরিবেশ।
যা ছিল, তা তো আছেই, তবে নতুন আশ্রয়ও তৈরি হচ্ছে। যেমন সুন্তালে থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে তৈরি হয়েছে নতুন এক হোমস্টে।
পাহাড়ের বেশ উঁচুতে অবস্থিত এই হোমস্টে এখন পর্যটকদের কাছেও ধীরে ধীরে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। পুজোর জন্য নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এই হোমস্টে। শুধু তাই নয়, এই হোমস্টের খুব কাছেই একটি দুর্গা পুজো হয়। সেখানেও যেতে পারবেন পর্যটকেরা।
সুন্তালের নতুন এই হোমস্টে থেকে দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা। আছে-- সানরাইজ, সানসেট পয়েন্ট। কখনও রোদ, কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, সঙ্গে সামান্য ঠান্ডা-- এমন আবহাওয়া মন জয় করবেই পর্যটকদের। এখান থেকে খুবই কাছে লাভা, লোলেগাঁও, ঝান্ডি, লুনসেল, মাঞ্জিং-সহ বিভিন্ন স্পট।
কালিম্পং জেলার সুন্তালে ছাড়াও এর আশেপাশে রয়েছে সামাবিয়ং, নকডারা, কাফেরের মতো মনোরম জায়গা।
সামাবিয়ং পাহাড়ের নাম করা চা-বাগান। যেখানে বহু বছর আগে প্রচুর ভাল্লুকের দেখা মিলত। এখনও মাঝে-মধ্যে ভাল্লুকের দেখা মেলে। কাফেরে রয়েছে দারুণ এক ঝিল। সেই ঝিলে পর্যটকেরা স্নান করতে পারবেন। আর নকডারায় সব সময়ই কুয়াশার মাধুরী।
একে করোনা আবহ নিয়ন্ত্রণে, তার উপর সামনে পুজো। এই অবস্থায় টুরিস্টদল অধীর আগ্রহে পাহাড়ে তাকিয়ে।