Durgapur: বিপুল জল ছাড়ছে দামোদর ব্যারেজ, ডুবতে পারে হাওড়া-হুগলির বহু নীচু এলাকা
নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে জেলায় জেলায় বাড়ছে জলযন্ত্রণা। জল বেড়েছে দামোদর, অজয় নদে। ঢুবেছে দুর্গাপুর, পান্ডবেশ্বর, অন্ডাল, ইলামবাজার, মেজিয়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্য়েই জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল দামোদর ব্যারেজ।
দুর্গাপুরে দামোদর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জল ছাড়া হচ্ছে ১ লাখ ৮৬ হাজার কিউসেক। এই পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। গতএকদিনে আসানসোল বৃষ্টি হয়েছে ৩৪৫ মিলিমিটার, দুর্গাপুরে ২২০ মিলিমিটার, গঙ্গাজলঘাটিতে ৩৭১ মিলিমিটার, কাঁটাবাঁধে বৃষ্টি হয়েছে ২৬৫ মিলিমিটার। এক ফলে দক্ষিণবঙ্গের খানাকুল, উদয়নারায়ণপুর, আমতার মতো নীচু এলাকা ঢুবতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন দুর্গাপুরের একাধিক ওয়ার্ড। দুর্ভোগে শহরের মানুষজন। নগর নিগম এলাকার বাইরেও বেশকিছু এলাকায় জল ঢুকেছে।দুর্গপুরের ৪, ৮, ১৩, ৩৪ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকায় জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। শহরের বাইরে কালিনগর এলাকায় একটি বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে গবাদি পশু। জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে পান্ডবেশ্বর, অন্ডাল থানা এলাকায়। জলমগ্ন অন্ডাল রেল ব্রিজ সাবওয়ে।
গত দুদিনের অক্লান্ত বর্ষণ এ জেরবার পুরুলিয়ার জনজীবন l মানুষ কার্যত গৃহবন্দি l বিরামহীন বৃষ্টিতে শহরের বহু এলাকা জলমগ্ন l নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকার জন্য রাস্তা জল থৈ থৈ l রাস্তা ছাপিয়ে মানুষের বাড়িতে ঢুকছে জল l শহরের নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত অচল l
দামোদর ও তার উপনদী গাইঘাটা জোড়ের জলে ভাসল বাঁকুড়ার মেজিয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে একটানা বৃষ্টিতে জলস্তর বৃদ্ধি পায় ওই দুই নদীতেই। ফলে গতকাল রাত থেকে ধীরে ধীরে প্লাবিত হয় মেজিয়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে লাগাতার বৃষ্টিতে বাঁকুড়া জেলার অন্যান্য নদীর মতোই জলস্তর বৃদ্ধি পায় দামোদর ও তার উপনদী গাইঘাটা জোড়ের। গতকাল রাতেই ওই দুই নদীর জল বিপদসীমা ছুয়ে ফেলে। ভোর তিনটা নাগাদ ওই দুই নদীর জল পাড় উপচে ঢুকতে শুরু করে মেজিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এদিন ভোরের দিকে দামোদর ও গাইঘাটা জোড়ের জলে প্লাবিত হয় মেজিয়া ব্লকের তারাপুর, ইন্দাড়া, বেলবরিয়া, চরমানা, রেল কলোনি, রামচন্দ্রপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম।
তারাপুরের কাছে গাইঘাটা জোড়ের জল সেতুর উপর দিয়ে বেগে বইতে থাকায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এদিকে বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে দুর্গত মানুষদের ভোর থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়। জানা গেছে এলাকায় এখনো পর্যন্ত মোট ১৪ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টির ফলে জল বেড়েছে অজয় নদীতে। বীরভূমের সঙ্গে বর্ধমান জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ইলামবাজার অজয় নদী সেতু। নতুন নির্মাণকারী সেতুতে জল বাড়ায় নিচের লোহার অংশটুকু ভেঙ্গে পড়ল ।