শহরের রাজপথে লাল-হলুদ শোভা, শতবর্ষের উদযাপন শুরু করল ইস্টবেঙ্গল
লড়াইয়ের ময়দানে একশো বছর। এটাই ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদ্যাপনের স্লোগান। কিন্তু সমর্থকরা লড়াইটাকে নিজেদের মতো ব্যাখ্যা করছেন। তাঁদের স্লোগান- ছিন্নমূল বাঙালির আকাশছোঁয়ার স্পর্ধা। সত্যিই একশো বছরের পথ চলা এত সহজ ছিল না লাল-হলুদের। কিন্তু হাজার বাধা টপকে আজ ময়দানের ইস্টবেঙ্গল ক্লাব একশো বছর পূর্ণ করতে চলেছে। এমন সময় আনন্দ তো হওয়ারই কথা সমর্থকদের। একজন ফুটবল সমর্থক, বিশেষ করে একজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের কাছে এর থেকে আনন্দের আর কী হতে পারে!
আগামী ১লা আগস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা দিবস। সঙ্গে ক্লাবের একশো বছরের পথ চলার আনন্দ উদযাপন। সমর্থকরা অবশ্য প্রাক শতবর্ষের আনন্দ উদযাপনে মেতেছেন। রবিবার তাই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে লাল-হলুদ সমর্থকরা মিছিল বের করলেন। লাল-হলুদের আভা ছড়িয়ে গেল শহরের গলি থেকে রাজপথে। উজ্জ্বল লাল-হলুদ রঙের ছটায় যেন আরও জ্বলজ্বল করে উঠল সমর্থকদের আবেগ, ভালবাসা, শ্রদ্ধা, আনুগত্য।
রবিবার সকাল নটায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সুরেশ চন্দ্র চৌধুরির কুমোরটুলি বাড়ির সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। সেই শোভাযাত্রা পৌঁছয় ক্লাবে। যেখানে রয়েছে শতবর্ষের স্মারক মশাল। এই কুমোরটুলি থেকেই প্রথম পথ চলা শুরু ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম প্র্যাকটিসও কুমোরটুলির মাঠে। তাই শতবর্ষে এসে ক্লাবের পুরনো খুঁটি ছুঁয়ে দেখার তাগিদ অনুভব করেছিলেন সমর্থকরা। কুমোরটুলিকে যেন নতুন আলোয় ভরিয়ে দিলেন তাঁরা।
কুমোরটুলি পার্কে মঞ্চ করে মশাল প্রজ্জ্বলন করা হল। ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে যিনি বহুযুদ্ধের সাক্ষী। সমর্থকরা মেতে ওঠেন আনন্দ-উত্সবে। গর্বের একশো বছর বলে কথা! - ছবি সৌজন্যে ইবিআরপি.ইন