‘ক্ষমতা থাকলে দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জী তৈরি করে দেখাক বিজেপি’
অসমে নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বসলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। ইতিমধ্যেই ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের ৪০ লাখ মানুষ। এদের নিয়ে কী হবে তা এখন কেন্দ্র-রাজ্যের ভাবনার বিষয়। তবে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে যারা ভারতীয় নাগরিক তাদের কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ওই বিপুল সংখ্যক মানুষ কীভাবে তালিকার বাইরে চলে গেলেন তানিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি।
তরুণ গগৈ দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিজেপির যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে তারা দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জী তৈরি করে দেখাক।
নাগরিকপঞ্জীতে যাদের নাম নেই তারা ভারতেরই নাগরিক। এদের মধ্যে সেনা, পুলিস কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী রয়েছেন।
অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলাম ভোটার লিস্টে যাদের নাম রয়েছে তাদের নাম নাগরিকপঞ্জীতে থাকা উচিত। ২০১৬ সালে এইমর্মে আদালতে একটি হলফনামা দেওয়া হয়। আদালত তা গ্রহণও করেনি আবার বাতিলও করে দেয়নি।
কে বিদেশি আর কে ভারতীয় নাগরিক তার কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। বরং তা মানবিক বিষয়। বিজেপি এর সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলছে। আসালে তারা চায় ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এর ফল ঘরে তুলতে
নাগরিকপঞ্জী নিয়ে তীব্র বিরোধিতায় নেমেছে বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকপঞ্জীর বিরোধিতা করে বলেছেন, কেন্দ্র যা করছে তাতে দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। নাম, পদবি ধরে ধরে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকরীদের নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক বিরোধীরা।