Abhijit Gangopadhyay | BJP: পদ্ম-পথে অভিজিৎ, জনতার হাতে এবার `বিচারপতির বিচার`
বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপি-র দফতরে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তাঁকে দলের দফতরে নিয়ে আসার জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান বিজেপি নেত্রী এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল এবং সজল ঘোষ।
অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘আমি অভিজিৎবাবুকে নিতে এসেছি। আমরা ওঁকে সল্টলেকের অফিসে নিয়ে যাব। সেখানে যোগদান কর্মসূচি হবে। এর পর আমাদের একটা দল সন্দেশখালি যাব’। সজল বলেন, ‘এ রকম এক জন গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে আমরা পাব। মানুষের কাছে উনি দেবতার মতো। এতে বিজেপিও সমৃদ্ধ হবে’।
তিনি বলেন, ‘আমি আজকে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছি। বিজেপি নেতারা এসেছেন। আমার বেরোতে পাঁচ-সাত মিনিট দেরি হয়ে গেল। আমার আজ খুব ভাল লাগছে। সর্বভারতীয় দলে যোগ দিতে যাচ্ছি। আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা করব’।
শুভেন্দু বলেন, ‘আমি এটুকুই বলব যে রাজ্যের রাজনীতিতে এ রকম এক জনের প্রয়োজন ছিল। তিনি তাঁর যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিলেন, তখন তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁর কাজ করার ক্ষমতা কেড়েও নেওয়া হয়েছিল। যোগদানের আগে তিনি অমিত শাহের আশীর্বাদ গ্রহণ করেছেন। রাজ্য থেকে পরিবারবাদী এবং তোষণকারী সরকারকে ফেলতে পারব’।
যোগদানের সময়ে বিজেপি দফতরে উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, ‘তাপস রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ যোগ দিলেন অভিজিৎ। আবার বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি হল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে প্রাক্তন বিচারপতিকে স্বাগত জানাচ্ছি’।
দলে যোগ দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি সর্বভারতীয় দলে যোগ দিলাম। এমন একটি দল যার মাথায় নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা রয়েছেন। আমি দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চাই। আজ আর বিশেষ কিছু বলার নেই। আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দলের বিদায় দেওয়া। যাতে ২০২৬ সালে আর তারা ক্ষমতায় আসতে না পারে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর লড়াই যাতে শুরু করা যায়, তার জন্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা পালন করব’।
বিজেপি-র দফতরে এই জোগদানের সময়ে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিও। তিনিও সদ্য যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে
এই প্রথমবার কোনও বিচারপতি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দলেন।