`তরুণ` হতে চায় সিপিএম!
নতুন ভাবে দলকে সাজাতে চায় বঙ্গ সিপিএম। ত্রিপুরায় বিপর্যয়ের পর দলের অন্দরে ফের জোরাল হচ্ছে বৃদ্ধতন্ত্র হটানোর দাবি।
সম্প্রতি কলকাতা প্লেনামে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৭৫ বছর বয়স হলেই রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়তে হবে।
বার্ধক্যের ভারে জরাজীর্ণ বঙ্গ সিপিএমে এ প্রশ্ন বহুদিনের। ভোটবাক্সে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ চলছেই।
পড়শি রাজ্যেও গেরুয়া ঝড়ে ধূলিসাত্ ২৫ বছরের লালদুর্গ। শিবরাত্রির সলতের মত টিমটিম করছে কেবল কেরল। সঙ্কটকালে ঘুরে দাঁড়াতে কাদের উপর নেতৃত্বের গুরুভার দেওয়া হবে?
শনিবার সকাল থেকে ত্রিপুরার ভোটের ফল নিয়ে যখন টেনশন বাড়ছে, তখন আলিমুদ্দিনে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর বৈঠক শুরু হয় এই বিষয়টিকে সামনে রেখে। সূত্রের খবর, বৈঠকে দলের একটা বড় অংশ বয়স্ক নেতাদের গুরু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পক্ষে জোর সওয়াল করেন।
আডবাণী-মুরলী মনোহর থেকে মোদী -অমিত শা। সোনিয়া থেকে রাহুল। সময়ের দাবি মেনে ব্যাটন চেঞ্জ হয়েছে বিজেপি কংগ্রেসের মতো দলগুলিতে। অথচ সিপিএম আছে বৃদ্ধদের হাতেই। খাদের কিনারায় চলে যাওয়া সিপিএম কী এবার তাজা রক্তে ভরসা রাখতে পারবে?
সম্প্রতি কলকাতা প্লেনামে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৭৫ বছর বয়স হলেই রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়তে হবে।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য সিপিএমের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন গৌতম দেব।
তবে ৭৭ বসন্ত পার করলেও, বিমান বসুর ক্ষেত্রে বয়সকে বাধা হিসাবে ধরা হবে না বলেই জানা যাচ্ছে।
বাদ পড়তে পারেন দীপক সরকার, দীপক দাশগুপ্ত, মদন ঘোষ। মূলত বয়সের কারণেই তাঁরা বাদ পড়তে পারেন বলে সূত্রের খবর।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগেই দলের সর্বোচ্চ কমিটি থেকে সরেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এবার হয়ত রাজ্য কমিটি থেকেও...
৭৫ ছুঁইছুঁই শ্রমিক নেতা শ্যামল চক্রবর্তীকেও সরানো হতে পারে।
তাহলে কি অপেক্ষাকৃত তরুণরাই দলের ব্যাটন হাতে তুলবেন? উত্তর দেবে ভবিষ্যত...