Bangladesh Protest: হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না দিয়ে কি বিপদ কিনছে ভারত? হাসিনা-প্রত্যর্পণে ঘোর জটিলতা...
কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ধরনের অনুরোধ বাংলাদেশ থেকে যে কোনও দিন আসতে পারে। হয়তো ঢাকার তরফে সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক মামলা রুজু হয়েছে। বাতিল হচ্ছে তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্টও। আর সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে বাংলাদেশের হাতে হাসিনাকে তুলে দিতে বাধ্য হবে দিল্লি?
২০১৩ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। দু'দেশের মধ্যে অপরাধী হস্তান্তরের এই চুক্তি তখনই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত বা ফেরার আসামি ও বন্দিদের একে অপরের কাছে হস্তান্তর করবে ভারত ও বাংলাদেশ।
এখন এই চুক্তির ভিত্তিতেই হাসিনাকে ফেরত চাইতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ কি তা করবে? করতেই পারে। কেননা, ইতিমধ্যেই বিএনপি-সহ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি হাসিনা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে তাঁকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। যদিও, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও এ বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, হাসিনার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রুজু হচ্ছে, তার ভিত্তিতে সেই দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রক যদি ভারত থেকে হাসিনাকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলেই ভারতকে এই অনুরোধ করা হবে। এবং তাঁর মতে, তেমনটা ঘটলে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে হবে ভারতে।
কিন্তু তেমন হলে বিচারের জন্য বা দণ্ডিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের হাতে হাসিনাকে কি তুলে দেবে ভারত? সেই সম্ভাবনা হয়তো কমই। কেননা, ভারত চিরকালই বিপদের দিনে সকলের পাশে দাঁড়ায়। সেভাবেই ভারত শেখ হাসিনার পাশেও দাঁড়িয়েছে। সহসা তাঁর পাশ থেকে হয়তো সরে যাবে না ভারত। তাহলে কি ভারত মাথা নোয়াবে না মুহাম্মদ ইউনূসদের চাপের কাছে? দেখা যাক, সময়ই তা বলবে।