জলে নয়, বালি খুঁড়ে মিলছে রুই মাছ! ওজন আবার ৫০০ গ্রাম...ভাবা যায়!
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের রথিপুরে আজ ঘটেছে অবাক কাণ্ড! বালি খুঁড়লেই মিলছে টাটকা মাছ। আর সেই মাছ পেতে ভিড় জমিয়েছেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। তবে সকলকে খালি হাতে ফিরতে হয়নি, বেশ কয়েকজনের কপালে জুটেছে বালির মাছ। সেইসব মাছের ওজনও কম নয়, এক একটা প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম।
সকাল সকাল এলাকায় খবর রটে যায়, বালি সরালেই মিলছে মাছ! এরপর থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে পশ্চিম মেদিনীপুরের রথিপুরের বাজার এলাকায়।
নবীন-প্রবীণ সকলেই তখন ব্যস্ত বালি খুঁড়তে। কেউ হাত দিয়ে বালি সরাচ্ছেন, কেউ আবার বাড়ি থেকে কোদাল নিয়ে এসেছেন। নিশ্বাস ফেলার সময় নেই কারও। এ যেন গুপ্তধন খোঁজ চলছে...!
ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের পাশে কে বা কারা বালি ফেলেছেন। আর সেই ভেজা বালির স্তুপেই মিলছে মাছ!
কিন্তু, বালিতে মাছ এল কীভাবে? আর রাস্তার পাশে বালিই বা কে ফেলল? এমন প্রশ্নে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘাটালে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, ভরা বর্ষায় জলভর্তি নদী থেকে বালি তোলার সময় বালির সঙ্গে মাছের ঝাঁকও না কি উঠে এসেছে ডাম্পারে।
সকলে আবার এই মত মেনে নিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, রাস্তায় পুলিস চেকিং থাকায় রাস্তার ধারে বালি নামিয়েই চম্পট দেয় বালি মাফিয়ারা। কিন্তু সেক্ষেত্রে মাছ এল কোথা থেকে? উত্তর জানা নেই...
তবে আম জনতার এত সব ভেবে কাজ কী! মাছ তো মিলছে ভাই! বালির নীচ থেকে মাছ তুলে, চল বাড়ি গিয়ে ভেজে খাই! - ভাবটা খানিক এমনই।
কেউ আবার মাছ হাতে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সেলফিও তুলছেন।তাঁদের মতে, এ যে ভাগ্যের ব্যাপার! কখনও কী শুনেছেন এমন কাণ্ড। না আমরা তো শুনিনি, কিন্তু এমন অদ্ভূত অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের রথিপুরের বাসিন্দারা।