লকডাউনে ব্যবসা বাঁচানোর নামে ঋণ নিয়ে ল্যাম্বরগিনি কিনল যুবক!
করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে বিশ্বজুড়ে লোকসানের শিকার বহু ছোট-বড় সংস্থা। অন্যদিকে এই সংস্থাগুলিই যে কোনও দেশের অন্যতম অর্থনৈতিক ভিত। তাই তাদের ঋণ দিয়ে কর্মীদের বেতন মেটাতে সাহায্য করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও করোনা পরিস্থিতিতে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাওয়া সংস্থাগুলিতে কর্মীদের বেতন দিতে ঋণের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পে চেক প্রোটেকশান প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির দিকে।
এই সাহায্যেরই অপব্যবহার করলেন ডেভিড টি হাইন্স নামের ২৯ বয়সী এক যুবক। পুলিসের অভিযোগ রীতিমতো ভুয়ো নথিপত্র, সংস্থা, সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক ডিটেলস জমা দিয়ে প্রায় ২৮ কোটি টাকার আবেদন করেন ওই যুবক। তিনি জানান প্রতি মাসে তাঁর বড় সংস্থায় কয়েকশো কর্মীকে বেতন দিতে ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এই অঙ্কের টাকা প্রয়োজন। তৈরি করেন ভুয়ো ব্যালেন্স শিটও। এর পরই পে চেক প্রোটেকশান প্রোগ্রামে ঋণ পেয়ে যান তিনি।
কিন্তু ঋণের একাংশ দেওয়ার পরেই তাঁর আসল সত্য বাইরে আসে। দেখা যায় যে সমস্থ নথিই ভুয়ো। শুধু তাই নয়, কর্মচারীদের বেতন প্রদানের নাম করে নেওয়া ঋণ দিয়ে কেনা হয়েছে একটি নীল ল্যাম্বরগিনি হুরাকান ইভি। যার দাম প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। এছাড়া ঋণের টাকায় লক্ষ লক্ষ টাকার ব্র্যান্ডেড জামাকাপড় কেনা হয় ও পাঁচ তারা রিসর্টের বিল মেটানো হয়।
এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করেন পুলিসকর্মীরা। যদিও পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি ওই যুবকের আইনজীবীর।