বালাকোটে জইশ জঙ্গিদের মেরেছিল ভারত, হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন বিদেশি সাংবাদিক

Wed, 08 May 2019-9:33 pm,

নিজস্ব প্রতিবেদন: বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে ভারতে অব্যাহত বিতর্ক। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এয়ার স্ট্রাইকের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। জনৈক বিদেশ সাংবাদিক নিশ্চিত করলেন, জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৭০জন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় বায়ু সেনা। 

জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদ। শহিদ হন আধা সেনার ৪০জন জওয়ান। তার বদলা নিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালায় ভারতের বায়ু সেনা। কিন্তু ওই হামলার অভিঘাত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন অনেকে। বায়ু সেনা স্পষ্ট জানিয়েছিল, অভিযানে তারা সফল। লক্ষ্যপূরণ হয়েছে।

জইশ প্রধান আজহার মাসুদকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার পরই   ইতালির সাংবাদির ফ্রন্সেকা মারিনো প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, ভারতের এয়ার স্ট্রাইকে ১৩০-১৭০জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। 

 

সূত্র উদ্ধৃত করে মারিনো প্রতিবেদনে লিখেছেন, রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত। পাক সেনা অকুস্থলে পৌঁছয় ভোর ৬টা নাগাদ। শিনকিয়ারিতে ছিল পাক সেনার ঘাঁটি। 

 

আহত জঙ্গিদের সেখান থেকে দ্রুত শিনকিয়ারিতে হরকত-উল-মুজাহিদিনের শিবিরে নিয়ে যায় পাক সেনা। ওই শিবিরে জখম জঙ্গিদের চিকিত্সা করেন পাক সেনাক চিকিত্সকরা। 

ইতালির সাংবাদিকের দাবি, ১৩০-১৭০ জন জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। চিকিত্সা চলাকালীন মারা গিয়েছে ২০জন জঙ্গি। ওই শিবিরে এখনও ৪৫জন আহত জঙ্গির চিকিত্সা চলছে। বাকি আহত জঙ্গিরা সুস্থ হয়ে উঠলেও  তাদের বাইরে পা রাখতে অনুমতি দেয়নি পাক সেনা।  

সংবাদমাধ্যমে খবর ফাঁস যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে সবরকম চেষ্টা করেছে পাক সরকার। এমনকি জইশের আহত ও মৃত জঙ্গিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। 

জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটি এখন পাক সেনার নিয়ন্ত্রণে। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। এমনকি স্থানীয় পুলিসকেও ঢুকতে দেয়নি পাক সেনা। 

গত কয়েক সপ্তাহ থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে খবর সংগ্রহ করেছেন বলে দাবি করেছেন মারিনো। 

অতিসম্প্রতি বিবিসি-র সাংবাদিকদের এলাকাটি ঘুরে দেখায় পাক সেনা। তবে তাদের নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাও এয়ার স্ট্রাইকের ৪০দিন পর। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, কিছু যদি না-ই হয়ে থাকে তাহলে সাংবাদিকদের বালাকোটে নিয়ে যেতে ৪০ দিন লাগল কেন পাকিস্তানের? 

 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link