New Year’s Eve Traditions: কোথাও সৌভাগ্যের প্রতীক ভাঙা ডিশের রাশি, কোথাও আবার ঝোলানো পিঁয়াজ!
নিউ ইয়ার্স ইভ অনেকের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেমন যাবে নতুন বছর, তার একটা মহড়া যেন এদিন হয়ে যায়। অনেকেই এদিন কিছু কিছু তুকতাক মেনে চলেন। বিশ্ব জুড়ে এ নিয়ে নানা সংস্কার আছে। যেমন স্পেনে এদিন আঙুর খাওয়ার চল। সেই উনিশ শতক থেকে চলছে। এদিন সেখানে ১২টি আঙুর খাওয়ার রীতি। বিশ্বাস, তা হলেই নতুন বছর ভালো কাটবে।
রাশিয়ায় আবার বরফাচ্ছন্ন হ্রদের নীচে গাছ রোপণের রীতি প্রচলিত। সেখানে গত ২৫ বছর ধরে প্রশিক্ষিত ডাইভার রাখা হচ্ছে। যাঁরা ১০০ ফুট জলের নীচে নেমে উইশ প্ল্যান্ট পুঁতে দিয়ে আসছেন।
ইটালিয়ানরা এমনিতেই একটু রোম্যান্টিক ধাঁচের। তারা এদিন লাল রঙের অন্তর্বাস পরে। তাদের কাছে লাল উর্বরতার রঙ। চিলিতে আবার এই দিনটি সকলে সমাধিস্থানে প্রার্থনায় সময় কাটায়। মৃত প্রিয়জনদেরও তাঁরা নববর্ষের আনন্দে যুক্ত করে নেন।
ডেনমার্কে আবার এক আশ্চর্যের জিনিস ঘটে। এদিন এখানে প্রতিবেশীরা পরস্পরের বাড়ির দরজা লক্ষ্য করে ডিশ ছোঁড়েন। ডেনমার্কবাসীরা মনে করেন, এই ভাবেই আসলে বছরের পুরনো পাপ বেরিয়ে যায়। যাঁর বাড়ির দরজাগোড়ায় যত ভাঙা ডিশ নতুন বছরে তিনি তত সৌভাগ্যবান হতে চলেছেন।
চেক প্রজাতন্ত্রে আপেলই সৌভাগ্য নির্ধারক। সেদেশে আপেল আধাআধি কেটে ফেলা হয়। দেখা হয় আপেল কোরটি। মনে করা হয়, আপেল কোরই সৌভাগ্যের সূচক।
কোথাও কোথাও আবার ভরপুর খাওয়া-দাওয়াই দস্তুর। এতসোনিয়ায় এক একজন ১২টি করে মিল খায়। গ্রিসে আবার বাড়ির সামনের দরজায় একটি কি দুটি পেঁয়াজ টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এটি পুনর্জন্মের প্রতীক।