দাদাগিরি নেই, বরং আপাদমস্তক সুরক্ষার বর্ম জড়িয়ে শহরের রাস্তায় নামল অটো
শহরের রাস্তায় ফের নেমেছে অটো। কিন্তু ছবিটা অন্যরকম। অটোর লাইনে হাতে গোনা লোক। সরকারি নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অটোতে দুজন করে যাত্রী। বহাল স্বাস্থ্যবিধিও। কিন্তু অন্যদিকে ভাড়া দ্বিগুণ। তারওপর কাটা রুট। চালকদের দাবি, যাত্রী নেহাতই কম।
ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সিলমোহর না পড়ায়, ছাড়পত্র পেয়েও রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস। দুই যাত্রীর কাছ থেকে চার যাত্রীর ভাড়া নিয়ে অটো চলছে সরকারি বিধি মেনে।
দু'জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। পরিবহণ দফতরের এই শর্ত মেনে রাস্তায় নামে অটো। চালকদের মুখে মাস্ক। যাত্রীরা অটোতে উঠে বসলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছেন তাঁরা। সরকারি নির্দেশিকা মেনে অটোয় দু'জন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। সুরক্ষার বিনিময়ে ডাবল ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
উল্টোডাঙার মতো একই ছবি পার্কসার্কাস অটোস্ট্যান্ডে। ভাড়ার অঙ্ক এখানেও ডাবল। পার্কসার্কাস-গড়িয়াহাট রুটে দু'জন করে যাত্রী যাচ্ছেন চারজনের ভাড়া দিয়ে। এক ট্রিপে ভাড়ায় পুষিয়ে গেলেও, আর্থিক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে তাঁদের। অভিযোগ অটো চালকদের। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, আতঙ্কে রাস্তায় লোক কম।
হাতেগোনা যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন দ্বিগুণ ভাড়া শুনে পিছিয়ে যাচ্ছেন। অটো ভরতে সময় লাগছে বেশি। ট্রিপ কমছে। ট্রিপের সংখ্যা কমায়, কমছে রোজগার।