Ganesh Chaturthi: কী ভাবে সঞ্চয় করবেন, বলে দিচ্ছেন স্বয়ং গণেশই...
ভগবান গণেশ হলেন সিদ্ধিদাতা। ফলে তাঁর পুজোর দিনেই শুরু হোক সঞ্চয়ের প্রথম ধাপ।
গজানন গণেশের ক্ষেত্রে হাতির মাথাটা একটা প্রতীক। এটা বুদ্ধির প্রতীক। ফলে যখনই আমরা ইনভেস্ট করব তখন যেন বুদ্ধিটাকে ব্যবহার করি।
গণেশের বড় কানও এক্ষেত্রে একটা প্রতীক। তিনি লম্বকর্ণও। এর অর্থ, তিনি নিজে অন্তত খুব ভালো শ্রোতা। সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে তাই ভালো করে শোনাটা খুব জরুরি। সবটা জেনে সব তথ্য সম্বন্ধে পরিষ্কার জ্ঞান অর্জন করে তবেই বিনিয়োগ করা দরকার।
গণেশের চোখও এক্ষেত্রে কথা বলে। গণেশের আর এক নাম চিন্তেশ্বর। তিনি যে কোনও ক্ষেত্রেই চিন্তাশীল। ফলে বিনিয়োগের সময়েও খুব চিন্তাশীল হওয়া জরুরি। আর বিনিয়োগ ঠিকঠাক হলে সঞ্চয়ও হতে থাকবে মসৃণ ভাবে।
গণেশের একটি দাঁতও এক্ষেত্রে রূপক। গণেশের একটি দাঁত কী ভাবে চলে যায় তার নানা পৌরাণিক ব্যাখ্যা আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, এ আসলে অতিরিক্তকে বিসর্জনের প্রতীক। যা দিয়ে কোনও কাজ হবে না, সেটার মায়া ত্যাগ করা।
বিশাল বাঁকানো শুঁড়ের জন্য গণেশের আর এক নাম বক্রতুণ্ড। এই শুঁড় আসলে ফ্লেক্সিবিলিটি ও অ্যাডাপটেবিলিটির প্রতীক। এক্ষেত্রে ব্যাখ্যাটা হল, কোনও ইনভেস্ট পরিকল্পনা নিয়েই স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন না। ফ্লেক্সিবল থাকুন। যেটা আগে ভেবেছেন, পরে তার চেয়ে কোনও ভাল প্ল্যান চলে এলে, সেটা নিয়ে ভাববার মতো মানসিক পরিস্থিতি বজায় রাখুন।