`সিদ্ধিদাতা` গণেশের পুজো করলে কী হয়? গণেশ কি সত্যিই বিঘ্নবিনাশক? নাকি...
বলা যেদিন গণেশের জন্ম হয়েছিল, সেই দিনটি ছিল ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী। সেজন্য দিনটিকে গণেশ চতুর্থী ও বিনায়ক চতুর্থী নামকরণ করা হয়েছে। শিব পুরাণে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে গণেশের জন্মদিন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সেখানে পুরাণের মতানুযায়ী, এই গণেশাবতারের আবির্ভাব ঘটেছিল ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্থীতে।
কী হয় গণেশপুজো করলে? ভক্তজনের বিশ্বাস, গণেশের পুজো করলে ঘরে-ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি ও বৃদ্ধি পায়। গণেশকে সিদ্ধিদাতা বলা হয়।
গণেশ কি সত্যিই বিঘ্নবিনাশক? এ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। কেননা, গণেশের আর এক নাম 'বিঘ্নরাজ'ও! যিনি বিঘ্নরাজ তিনি বিঘ্নবিনাশক হন কী করে?
বলা হয়, গজানন ভোজনপ্রিয়। তাঁর এই ভোজনপ্রিয়তার কারণেই তাঁর পুজোর ভোগে বেশ অভিনবত্ব লক্ষ করা যায়। মোদক গণেশের খুবই প্রিয়, তাই গণেশ চতুর্থীতে তাঁকে মোদক দেওয়া হয়।
দশদিনব্যাপী গণেশোৎসব চলে। বিশেষ জাঁকজমক মহারাষ্ট্রে। এছাড়াও দেশের অন্যান্য রাজ্যেও আড়ম্বরের সঙ্গে এ পুজো হয়।
দশদিনব্যাপী গণেশোৎসবের সমাপ্তি হয় অনন্ত চতুর্দশীর দিন।
গণেশপুজো এখন গোটা ভারতের অন্যতম বড় আকারের ধর্মীয় উৎসবে পরিণত।